|
---|
জয়দীপ মৈত্র্র্র্্র্র্র,,নতুন গতি,দক্ষিণ দিনাজপুরঃ চলতি মাসের গত ৪ তারিখে উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে দলীয় সংগঠনকে কার্যত চাঙ্গা করতে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর স্টেডিয়ামে এক বিশাল জনসভা করতে এলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলার মোট ৬ টি বিধানসভাকে জোড়া ফুলে মুড়িয়ে দিতে ও ড্যামেজ কন্ট্রোল করতেই এই বিশাল জনসভা। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল খারাপ হয় তৃণমূল কংগ্রেসের, এরপরই জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের নানান পদের রদবদল হয় তার সাথে বরাবরই দক্ষিন দিনাজপুর জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দলের কথা বারবার উঠে এসেছে। তাই ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে সমস্ত রাগ-অভিমান ভূলে জেলায় ৬ টি বিধানসভায় জিতে তা উপহার স্বরূপ দেওয়ার সাথে-সাথেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃতীয় বারের মতন মুখ্যমন্ত্রী বানাতে ও দলকে চাঙ্গা করতে হাতে হাত রেখে নির্বাচনী ময়দানে নামার আহ্বান জানিয়ে এদিন দুপুরে প্রথমে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর সার্কিট হাউসে এক কর্মীসভা করার পর বেলা প্রায় ৩ টায় গঙ্গারামপুর স্টেডিয়ামে জনসভায় উপস্থিত হন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বরা জানিয়েছিলেন ২ লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটবে এই জনসভায়। এদিন সেকথা সত্যি করে গঙ্গারামপুর স্টেডিয়ামে প্রচুর মানুষের সমাগম ঘটে। উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গৌতম দাস, প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান শঙ্কর চক্রবর্তী, জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি অম্বরিশ সরকার, জেলা ছাত্র পরিষদের সভাপতি অতনু রায়, ললিতা টিগ্গা, প্রশান্ত মিত্র, তোরাব হোসেন মণ্ডল, অশোক বর্ধন, অমলেন্দু সরকার সহ আরো অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা। উপস্থিত সকল বিশিষ্টরা একে একে তাদের বক্তব্য রাখেন। এরপরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তার বক্তব্য শুরু করেন। বক্তব্য শুরুতেই তিনি কেন্দ্রের ক্ষমতায় থাকা বিজেপিকে এক হাত নিলেন। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারি অথবা মুকুল রায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন “সব চোরেরা চোরের দলে গেছে, তিনি বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কয়েক বছর রাজ্যের মানুষের জন্য যা করেছে তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৭ বছরে কি কাজ করেছে? জাতীয় সড়কের জরা জির্ণ অবস্থা শিলিগুড়ি থেকে আসতে দেখলাম কিছুদিন আগে বীরভূম থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন কেন্দ্র যদি জাতীয় সড়ক সংস্কার না করে তাহলে বলুক আমরা করে দিচ্ছি বলে জানান তিনি। দিল্লী পরিচালনা করবে বাংলাকে? পরিচালনা করবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাকে? যারা বাংলা বলতে জানেনা পড়তে জানেনা তারা চালাবে বাংলা। অনরেকর্ড বলে যাচ্ছি আমাকে যারা দূর্নীতিগ্রস্থ তোলাবাজ ভাইপো বলছেন যদি তা প্রমাণিত করতে পারেন তাহলে ফাঁসির মঞ্চ করবেন আমি মৃত্যুবরন করবো। তিনি বলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সাংসদ সুকান্ত মজুমদার আমাকে বহিরাগত বলেছেন আমি প্রশ্ন করছি কৈলাশ বিজয়বর্গী কি তাহলে ভূমিপুত্র? সব মিলিয়ে বঙ্গে বিজেপি পদ্ম ফুল ফোঁটানোর জন্য উঠে পরে লেগেছে কিন্তু রাজ্যের মানুষ বাংলার মানুষের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা যা করেছেন সেই উন্নয়নের তালিকা বলে শেষ করা যাবেনা তাই বাংলার মানুষ মানুষ আমাদের সাথে আছে তাই যতই নাড়াও কলকাঠি নবান্নে আবার হাওয়াই চটি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন কেউ তা আটকাতে পারবেনা।