|
---|
শিলিগুড়ি: মূক ও বধির এক যুবক ভরা শীতে রাস্তায় রাত কাটাচ্ছে। তিন দিন ধরে এই অবস্থা দেখেও পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন, স্থানীয় বাসিন্দা এবং ব্যবসায়ীরা খাবারের ব্যবস্থা করলেও ওর থাকার ব্যবস্থা করতে পারেনি। ফলে শীতের রাতে ঠান্ডায় রাস্তায় রাত কাটাচ্ছে যুবক। এই খবরকে কেন্দ্র করে এদিন চাঞ্চল্য ছড়ালো জলপাইগুড়ি পুর এলাকার শিলিগুড়ি বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন শনি মন্দির এলাকায়।
বাবু হালদার নামে এই যুবক উত্তর দিনাজপুরের সূর্যদয় মূক ও বধির হোমে থাকতো বলে সূত্রের খবর। ১৮ বছর বয়স হওয়ায় এই যুবককে হোম থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপর ঘুরতে ঘুরতে নানা ভাবে জলপাইগুড়ি চলে আসে যুবকটি। পায়ে চোট রয়েছে কথা বলতে বা শুনতে পারে না। নিজের নাম লিখে বা হোমের নাম লিখে মনের ভাব বোঝাতে চায় ও।
প্রথম দিনই ঘটনাটি দেখে স্থানীয়রা ছেলেটির খাবার ও শীতের পোশাকের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েও ছেলেটির কোনো থাকার ব্যবস্থা করা যায়নি। এদিন তাই বাধ্য হয়েই সংবাদমাধ্যমে খবর দেন তারা। তাদের দাবি প্রশাসন দ্রুত এই ছেলেটির আশ্রয়ের ব্যবস্থা করুক।
এবিষয়ে জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল জানান, তার কাছে তিন দিন আগেই এই বিষয়ে খবর দিয়েছিল প্রকাশ ফাউন্ডেশন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তাদের আবেদনের ভিত্তিতে পুরসভার আশ্রয় হোমে ছেলেটির থাকার ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়ে গেছে। এদিন কিছু কাগজপত্রের জটিলতার জন্য কাজটি সেই সংস্থা সম্পন্ন করতে পারেনি। আগামীকাল স্থানীয় বাসিন্দাদের লিখিত সহ কাগজ পুরসভায় পৌঁছালেই ছেলেটির থাকার ব্যবস্থা হতে পারে।
যদিও প্রশ্ন উঠছে কিভাবে ১৮ বছর বয়স হওয়া মাত্রই কোনো রকম আফটার কেয়ারের ব্যবস্থা না করে হোম থেকে ছেলেটিকে বের করে দেওয়া হলো। প্রশ্ন উঠছে পুর চেয়ারপার্সন তিন দিন ধরে জেনেও কেন ছেলেটিকে আশ্রয় দিতে এতটা দেরি করলেন।