“দুয়ারের সরকার” কর্মসূচির কাজ সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে নিজের সংসদীয় এলাকায় অভিনেত্রী নুসরাত জাহান

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: নিজস্ব সংসদীয় এলাকার মানুষজন ঠিকমতো সরকারি পরিষেবা পাচ্ছেন কিনা, তা নিয়ে আগাগোড়াই কড়া নজরদারি থাকে অভিনেত্রী নুসরত জাহানের (Nusrat Jahan)। এই অতিমারী আবহে গোটা লকডাউনে বসিরহাটের মানুষদের যাতে কোনওরকম কষ্ট না হয়, সেদিকেও খেয়াল রেখেছেন সাংসদ অভিনেত্রী। এবার জনগনের সুবিধে-অসুবিধের কথা শুনতে পৌঁছে গেলেন তাঁদের দুয়ারে দুয়ারে। আজ্ঞে হ্যাঁ। তৃণমূল সাংসদের এই অভিনব কর্মসূচীর নামও তাই- ‘দুয়ারে দুয়ারে’ (Duare Duare)।
শনিবার, দুপুরে বসিরহাট উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বেগমপুরের বিবিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে যান সাংসদ-অভিনেত্রী। যেখানে ‘দুয়ারে দুয়ারে’ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই গোটা এলাকা পরিদর্শন করেন সাংসদ নুসরত জাহান। শুধু তাই নয়, কথা বলেন ক্যাম্পের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষজনদের সঙ্গে। সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে যেসমস্ত সরকারি পরিষেবাগুলি চালু করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, সেগুলো তাঁরা ঠিকমতো পাচ্ছেন কিনা, কিংবা এই পরিষেবাগুলির আবশ্যিকতাই বা কোথায়, সেসম্পর্কে যাবতীয় বিষয়ে কথা বলেন মানুষের সঙ্গে।

    ADVERTISEMENT
    ‘খাদ্যসাথী’, ‘স্বাস্থ্যসাথী’ ‘শিক্ষাশ্রী’, ‘কন্যাশ্রী’ ‘রূপশ্রী’ ‘কৃষি বন্ধু’ এবং ‘১০০ দিনের কাজ’ এই সবকটি প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে মানুষকে বুঝিয়ে বলেন। কীভাবে এই সুবিধা পাবেন, তা নিয়ে ‘দুয়ারে দুয়ারে’ কর্মসূচি ক্যাম্পের লাইনে দাড়িয়ে থাকা হাজার হাজার মানুষদের জানান। ‘দুয়ারে দুয়ারে’ কর্মসূচি আসলে মানুষজন সরকারি পরিষেবা কেমন পাচ্ছেন, তা খতিয়ে দেখতেই আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সূত্রেই বসিরহাট পরিদর্শনে যান সাংসদ, অভিনেত্রী নুসরত জাহান। সাংসদের মন্তব্য, “এর আগেও মানুষ সরকারি সুবিধা পেয়েছে। তবে এখন সমস্ত সুবিধা একটা জায়গা থেকেই পাওয়া যাবে। মানুষের মুখে আজ এজন্যই হাসি দেখতে পাচ্ছি।” এদিন কর্মসৃচীর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত জাহান বলেন, “দিদি এত কাজ করেছেন যে, বাংলার মানুষের কাছে ভাল থাকাটা খুব সহজ। এখানকার মানুষকে ভালরাখাটা প্রথম দরকার। মানুষ খেয়ে-পরে ভাল থাকুন, বাড়ির বাচ্চারা পড়াশোনা করুক, দিদি এটাই চান।” এর পাশাপাশি তিনি এও বলেন যে, “মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দিতেই দুয়ারে দুয়ারে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এর আগে বাংলায় এমন উদ্যোগ কেউ নেয় নি।”