দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর মনীষা র পরিবারের পৌঁছলেন কংগ্রেসে নেতা রাহুল ও প্রিঙ্কা

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক:দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অবশেষে হাতরসের নির্যাতিতার বাড়িতে পৌঁছলেন রাহুল গান্ধি ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধি। সূত্রের খবর তাঁদের সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী, কে বেনুগোপাল। রাহুল প্রিয়াঙ্কা দেখা করেন মৃতা তরুণীর বাবা, মা ও ভাইয়ের সঙ্গে। ঘরে ঢুকে প্রিয়াঙ্কা জড়িয়ে ধরেন ওই তরুণীর মাকে। এক ঘণ্টা কথাবার্তা চলে তাঁদের। রাহুল সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, “নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে রয়েছি এই দুঃসময়ে।তাঁদের রক্ষা করার দায়িত্ব উত্তরপ্রদেশ সরকারের।”

    সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেন প্রিয়াঙ্কাও। বলেন, “মেয়েটির পরিবার ন্যায়বিচার না পাওয়া অবধি আমরা লড়ে যাব। যোগী আদিত্যনাথ নিজের দায়িত্বকর্তব্য ভুলে যেতে পারেন না।”

     

    এ দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ দ্বিতীয়বারের জন্য হাতরস অভিমুখে রওনা হন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা।সঙ্গে ছিলেন ৩০ জনেরও বেশি কংগ্রেস সাংসদ। তাঁদের আটকানো হয় দিল্লি নয়ডা ব্রিজে। ঠিক বৃহস্পতিবারেরই মতো ফিরে যেতে বলা হয় তাঁদের। কিন্তু ফিরে না গিয়ে উল্টে সেখানেই সভা শুরু করেন রাহুল। বেগতিক দেখে স্থির হয় রাহুল-প্রিয়াঙ্কা হাতরাস যাবেন। সঙ্গে যাবেন অতিরিক্ত তিনজন।শুরু হয় যাত্রা। মধ্যে একহা মথুরার কাছে বিরতি নেন তাঁরা।

    রাহুল-প্রিয়াঙ্কা যখন হাতরস যাচ্ছেন সংবাদমাধ্যমের সামনে আরও একবার মুখ খোলেন। দ্ব্যর্থহীন ভাষায় তিনি ক্ষোভ উগড়ে দেন। বলেন, “জেলাশাসক আমাদের শাসিয়েছে। তাকে কেন বরখাস্ত করল না সরকার? ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আমার বোনের অস্থিবিসর্জন হবে না।”

    বৃহস্পতিবার প্রথম এই দলিত তরুণীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে হাতরাসে যাওয়ার চেষ্টা করেন রাহুল গান্ধি। যমুনা সেতুত পুলিশের সঙ্গে প্রবল ধাক্কাধাক্কির মধ্যে পড়েন রাহুল। পুলিশের যুক্তি ছিল, পরিস্থিতি বেসামাল হওয়ায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে হাতরাসে। তাই যাওয়া চলবে না হাতরসে। রাহুল-প্রিয়াঙ্কারা সেই নির্দেশ অমান্য করে এগোতেই শুরু হয়ে যায় ধাক্কাধাক্কি। রাহুল গান্ধি সেদিনই সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমাদের গাড়ি আটকে দিয়েছে, তাই আমরা পায়ে হেঁটেই এগোচ্ছিলাম। এর মধ্যেই পুলিশ লাঠিচার্জ করে। আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়। এ দেশে কি শুধু নরেন্দ্র মোদিই হাঁটবেন? সাধারণ মানুষের হাঁটারও অধিকার নেই