|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : যাদবপুর, কসবার পর ফের ছাত্রের রহস্য মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে এল। কলেজের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনা হাবরায়। অথচ, মেধাবী ছাত্র স্বাগত বণিকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হল বাড়ি থেকে প্রায় ১১৮ কিলোমিটার দূরে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া থানার ক্ষিরাই স্টেশন লাগোয়া রেললাইন থেকে। একমাত্র ছেলের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশায় পরিবার। আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত খুন? ঘটনার তদন্তে পুলিস। পড়ুয়ার নিথর দেহ বাড়ি ফিরতেই শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা। প্রশ্ন উঠছে রাজ্যজুড়ে কবে বন্ধ হবে পড়ুয়াদের মৃত্যু মিছিল?
পরিবার সূত্রে খবর, ছোটোবেলা থেকেই পড়াশোনায় ভালো ছিলেন বছর উনিশের স্বাগত। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো ফলাফলের পর শিয়ালদহ সুরেন্দ্রনাথ কলেজে স্ট্যাটিসটিকস-এ অনার্স নিয়ে ভর্তি হন স্বাগত। রবিবার, দুপুরে বাড়িতে স্বাগত জানান, প্রজেক্ট বাইন্ডিংয়ের কাজের জন্য সে শিয়ালদহ যাবেন। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হলেও স্বাগত বাড়ি না ফেরায় দুশ্চিন্তায় পড়ে পরিবার। মধ্যরাতে হাবরা থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়। অবশেষে, সোমবার রাত ৯টা নাগাদ পাঁশকুড়া রেল পুলিসের পক্ষ থেকে খবর আসে, মাল গাড়ির সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন স্বাগত। আত্মহত্য়া নয়, খুন করা হয়েছে, দাবি পরিবারের।
স্বাগতের দিদির অভিযোগ, আত্মহত্যা করার থাকলে ভিনরাজ্যে কেন যাবে? স্বাগতের মৃত্যুর পিছনে সহপাঠীদের হাত রয়েছে বলে দাবি করেন। স্বাগতের বন্ধুদের কথায়, কলেজে ভর্তি হওয়ার পর নিয়মিত পাঁচতারা রেঁস্তোরা, ক্লাবে যাতায়াত চলত স্বাগতের। এত টাকা পেত কোথা থেকে স্বাগত? ভেবেই অবাক পরিবার। পুলিসের কাছে অপরাধীদের দ্রুত চিনহিত করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন পরিবারের সকলে।
যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই তোলপাড় রাজ্য। এই নিয়ে রাজনৈতিক জলঘোলাও কম হয়নি। তারই মধ্যে, কসবা বোসপুকুরের একটি বেসরকারি স্কুলেও পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যে ছাত্র নিরাপত্তা নিয়ে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ছাত্র মৃত্যু। কোনও খারাপ সঙ্গে মেলামেশার জন্যই কি এই পরিণতি স্বাগতর? নাকি বড় কোনও ষড়যন্ত্রের শিকার সুরেন্দ্রনাথ কলেজের ছাত্র? ধোঁয়াশার জট কীভাবে খোলে সেদিকেই নজর।