|
---|
নতুন গতি প্রতিবেদক: গত ৩১ অগাস্ট অসমের নাগরিকপঞ্জীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ্যে এসেছে। আর তাতে বাদ পড়েছে ১৯ হাজার জনের নাম। এরপর থেকেই এনআরসি ইস্যুতে দেশ জুড়ে জল্পনা তুঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হবে না। এই পরিস্থিতিতে সংসদে দাঁড়িয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বললেন, সারা দেশ জুড়ে এনআরসি হবে।
সারা দেশে জাতীয় নাগরিকপঞ্জিকরণ হবে বলে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের তৃতীয় দিনে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অমিতবাবু দ্বর্থ্য ভাষায় জানিয়ে দিলেন, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু, খ্রিস্টান, পার্সি, বৌদ্ধ এবং জৈন ধর্মাম্বলী মানুষদের নাগরিকত্ব দিতেই সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আনতে চলেছে। ধর্ম, বর্ণ নির্বেশেষে মানুষের উপর দেশ জুড়ে এনআরসি চলবে।
সংসদে প্রশ্ন তোলা হয়, নাগরিকত্বের বিষয়ে মুসলিমদের উপর সরকার কী ভাবনা চিন্তা করছে। এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেননি অমিত শাহ। তিনি বলেন, শরণার্থী হিন্দু, পার্সি, বৌদ্ধ, জৈনদের নাগরিকত্ব দিতে নাগরিক সংশোধনী বিলের আওতায় আনা হবে। কারণ হিসাবে ব্যাখ্যা দেন পাকিস্তান,বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানে ওই সব শরণার্থীরা নির্যাতিত।
এদিন সাংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুসলিমদের কথা বাদ দেওয়ায় এনসিপি সাংসদ নাসের হুসেন প্রশ্ন তোলেন। জবাবে অমিত শাহ বলেন, “আপনি এনআরসি আর নাগরিকত্ব বিলকে গুলিয়ে ফেলছেন। এনআরসির আওতায় সবাইকে আসতে হবে। এর সঙ্গে কোনও ধর্মকে নিশানা করার ব্যাপার নেই।”
এর আগে অমিত শাহ কলকাতায় একটি সমাবেশে বলেছিলেন যে এনআরসি জাতীয় সুরক্ষার বিষয় এবং “কোনও দেশ এত পরিমাণে অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে নিয়ে সহজেই চলতে পারে না।”
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় “লাখে লাখে হিন্দুদের” বাংলা ত্যাগ করার বিষয়ে মিথ্যাচার ছড়াচ্ছেন এই অভিযোগ তুলে অমিত শাহ বলেন, “আমি আজ হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টান শরণার্থীদের এই আশ্বাস দিতে চাই যে, সরকার আপনাকে ভারত ছাড়তে বাধ্য করবে না।”