নদিয়ার  কুপার্সে গ্রিন সিটি  মিশন প্রকল্পে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

নিজস্ব সংবাদদাতা : নদিয়ার  কুপার্সে গ্রিন সিটি  মিশন প্রকল্পে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসারের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুর প্রধান। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা (Political Tussle)।পুরসভার উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ। কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার বিরুদ্ধে। ৩ সেপ্টেম্বর মেয়াদ ফুরোচ্ছে নদিয়ার কুপার্স ক্যাম্প নোটিফায়েড এরিয়া অথরিটির। তার আগে খোদ পুর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন নিজেকে তৃণমূল সমর্থক বলে দাবি করা এক পুর নাগরিক।অভিযোগ, রাজ্য সরকারের গ্রিন সিটি মিশন প্রকল্পে উন্নয়ন খাতে জমা পড়া টাকা আত্মসাৎ করেছেন পুর চেয়ারম্যান। প্রায় কোটি টাকা তছরুপ হয়েছে বলে অভিযোগ। ৪ জুলাই, পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসারের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। অভিযোগকারী অভিজিৎ হালদারের দাবি, ‘চেয়ারম্যান গ্রিন সিটি ছাড়া একাধিক প্রকল্পে দুর্নীতিতে যুক্ত। তার তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। এতে মুখ্যমন্ত্রীর ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে। তাই দলের স্বার্থে অভিযোগ জানিয়েছি।’কুপার্স ক্যাম্প নোটিফায়েড এরিয়া অথরিটির চেয়ারম্যান শিবু বাইনের পাল্টা দাবি, ‘সামনে পুর নির্বাচন তাই রাজনৈতিক চক্রান্ত চলছে। আমাকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা চলছে। পুরসভার চেয়ারম্যান কে হবেন, তা নিয়ে এখন থেকেই পাড়ায় পাড়ায় প্রচার চলছে।’

     

    পুরভোটের আগে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে অস্বস্তিতে জোড়া ফুল শিবির। এনিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার বিজেপির জেলা সম্পাদক দীপক দে বলেন, ‘গ্রিন সিটি প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে। পুরসভার চেয়ারম্যান ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা টাকা আত্মসাৎ করেছেন। পুরসভা দুর্নীতির আখড়া হয়ে উঠেছে।’কুপার্স শহরের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দিলীপকুমার দাস বলেন, ‘কেউ ভুল করে থাকলে নিশ্চিতভাবে ব্যবস্থা হবে। আমাদের দলে অনুশাসন রয়েছে। অভিযোগ উড়িয়ে দিই না।’

     

    মাসদুয়েক পর কুপার্স ক্যাম্প নোটিফায়েড এরিয়া অথরিটির মেয়াদ শেষ হবে। দুর্নীতির অভিযোগ নস্যাৎ করে পুরসভা দখলে রাখাই এখন তৃণমূলের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।