|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক:- ক্যানিংয়ের (Canning) গুলি করে কপুিয়ে খুন (shot)। তাও আবার জনবহুল এলাকায়। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Paraganas) ক্যানিং এলাকায়।ক্যানিংয়ের জনবহুল এলাকায়, পথ আটকে তৃণমূল নেতা-সহ ৩ জনকে গুলি করে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ। সকাল ৯টা নাগাদ পিয়ারের পার্ক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে খবর, একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন ক্যানিংয়ের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য স্বপন মাঝি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও ২ জন। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা প্রথমে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে, কুপিয়ে খুন করে। পালানোর সময়, তাঁর দুই সঙ্গীকেও গুলি করে, কুপিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। এলাকা থেকে বোমা ও তিনটি গুলির খোল উদ্ধার হয়েছে। ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক পরেশরাম দাসের কথায়, ‘বেশ কিছুদিন ধরেই আতঙ্কে ভুগছিল যে কেউ বা কারা ওকে খুন করে দেবে। সেই জন্য গত পরশুদিন আমার পার্টি অফিসে এসে সন্ধে ৭টার সময়ে আমার সঙ্গে দেখাও করেছিল। খুন করে দেওয়ার আশঙ্কা করে উদ্বেগ প্রকাশ করে। নিরাপত্তার ব্যাপার দেখব বলে জানাই। অনেক রাত হয়েছিল বলে বললাম যে সাবধানে বাড়ি যেতে। আজ সকালে আমাদের পার্টি অফিসে একুশে জুলাই নিয়ে একটা মিটিং ছিল। সেখানে উপস্থিত থাকার চিঠি পেয়েছিল। সেই উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। সকাল ৯টার সময়ে বাইকে করে আসছিল। ওর সঙ্গে ভূতনাথ ও ঝন্টু বলে দুজন ছিল। চার-পাঁচজন এখানকার দুষ্কৃতী, তারা সামনে থেকে গুলি করে। স্বপনের গুলি লাগে। প্রাণ বাঁচাতে বাকি দুজন পালাতে চেষ্টা করে। বেশ কিছু দূর গিয়ে তাদেরকেও গুলি করে দেয়। তিনজনের ধড় থেকে মাথা আলাদা করার চেষ্টা করে।’তাঁর কথায়, ‘বেশ কিছু দুষ্কৃতী দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় তাণ্ডব চালায়। আমি পুলিশ প্রশাসনের কাছে আবেদন করব ব্যাপারটা দেখতে। আজ স্বপন মাঝি খুন হল, কাল আমি হব না, পরশু অন্য কেউ হবে না তার কী গ্যারান্টি আছে?’ গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নিহতদের পরিবারে নেমেছে শোকের ছায়া।