পঞ্চায়েত সদস্য সহ তিন ব্যক্তির মৃত্যুতে চাঞ্চল্য এলাকায়

বাবলু হাসান লস্কর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা : দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে বাড়ি থেকে বেরোনোর পর খুন হলেন তিন তৃণমূল কর্মী।ঘটনা ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা এলাকার। নিহতদের মধ্যে একজন স্বপন মাঝি। বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধর্মতলা এলাকায়। অন্য দুজনের পরিচয় এখনো জানা জায়নি। পয়েন্ট রেঞ্জ থেকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা মৃত্যু সুনিশ্চিত করতে গলাকাটে। দুপুরে গুলি করে গলা কেটে খুন করা হয়েছে তাদের। নিহতের বাড়ি ধর্মতলা এলাকায়-গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পিয়ার পার্কের কাছে খুন করা হয় তাদের। কি কারনে খুন করা হয়েছে তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। খুন হওয়া স্বপন মাঝি এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য বলে জানা গেছে। ঘটনার পর বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছে ওই এলাকায়। উত্তেজনা আছে ঘটনায় পরে এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

    এই খুনের বিষয় নিয়ে ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশ রাম দাস তিনি জানান, এলাকায় পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মাঝি খুবই সুপরিচিত ব্যক্তি এবং এলাকায় নেতৃত্ব দিতেন। আর তাতেই বিজেপি এলাকায় দুর্বল হতে থাকে।দিনে দিনে তৃণমূল কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি তৈরি করায় তার উপরে এমনই হামলা। অপর দিকে ভারতীয় জনতা পার্টির সংগঠন দুর্বল হতে থাকে। পঞ্চায়েত নির্বাচন যতই কাছে আসছে শাসকদলের বিরুদ্ধে বিরোধী দল তাদের সংগঠন মজবুত করতে শুরু করছে ও জোটবদ্ধ হতেই এমনই ঘটনা বলে মনে করছেন। অপর দিকে ভারতীয় জনতা পার্টির জয়নগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি উৎপল নস্কর তিনি বলেন ওখানেই আমাদের সংগঠন দুর্বল ওটা ওদের গোষ্ঠী কোন্দল এখন নিজেদের দোষ ঢাকতে বিজেপির উপরে দোষারোপ করছেন। এর সঙ্গে বিজেপির কোন কর্মী যুক্ত নয় তবে আইন আইনের পথে চলবে এমনই তিনি জানান।