|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: ৮২ বছর বয়সী আল মাহমুদ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।ধানমণ্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে শুক্রবার রাত ১১টা ৫ মিনিটে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে কবির ব্যক্তিগত সহকারী আবিদ আজম জানিয়েছেন।গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কবিকে ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। ওই দিন ইবনে সিনা হাসপাতালে তাঁকে প্রথমে সিসিইউতে ও পরে আইসিইউতে নেওয়া হয়। আজ (শুক্রবার) তাকে আজ ‘লাইফ সাপোর্ট’ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি সবাইকে ছেড়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
কবি আল মাহমুদ এর সংক্ষিপ্ত জীবনী————————————জন্মঃ ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দজীবিকাঃ কবি, সম্পাদক, সাংবাদিকজাতীয়তাঃ ব্রিটিশ ভারতীয় (১৯৩৬-১৯৪৭)পাকিস্তানী (১৯৪৭-১৯৭১)বাংলাদেশী (১৯৭১-বর্তমান)জাতি বাঙালিনাগরিকত্বঃ ব্রিটিশ ভারত (১৯৩৬-১৯৪৭)পাকিস্তান (১৯৪৭-১৯৭১)বাংলাদেশ (১৯৭১-বর্তমান)সময়কালঃ বিংশ শতাব্দীধরনঃ কবিতা, গল্প, উপন্যাসবিষয়ঃ গ্রামীণ জীবন, নারী
উল্লেখযোগ্য রচনাসমূহঃ লোক লোকান্তরকালের কলসসোনালি কাবিনমায়াবী পর্দা দুলে উঠোউল্লেখযোগ্য পুরস্কারঃ একুশে পদক
#আল মাহমুদ (জন্মঃ ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দ) আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি। তিনি একধারে একজন কবি, ঔপন্যাসিক এবং ছোটগল্প লেখক।[১]জন্মআল মাহমুদ ১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই[১] ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মোড়াইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রকৃত নাম মীর আব্দুস শুকুর আল মাহমুদ।[২] তিনি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান কবি। আল মাহমুদ বেড়ে উঠেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।
কর্মজীবনসংবাদপত্রে লেখালেখির সূত্র ধরে কবি ঢাকা আসেন ১৯৫৪ সালে। সমকালীন বাংলা সাপ্তাহিক পত্র/পত্রিকার মধ্যে কবি আব্দুর রশীদ ওয়াসেকপুরী সম্পাদিত ও নাজমুল হক প্রকাশিত সাপ্তাহিক কাফেলায় লেখালেখি শুরু করেন। তিনি পাশাপাশি দৈনিক মিল্লাত পত্রিকায় প্রুফ রিডার হিসেবে সাংবাদিকতা জগতে পদচারণা শুরু করেন। ১৯৫৫ সাল কবি আব্দুর রশীদ ওয়াসেকপুরী কাফেলার চাকরি ছেড়ে দিলে তিনি সেখানে সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। কাব্যগ্রন্থ লোক লোকান্তর(১৯৬৩) সর্বপ্রথম তাকে স্বনামধন্য কবিদের সারিতে জায়গা করে দেয়। এরপর কালের কলস(১৯৬৬),সোনালি কাবিন(১৯৬৬), মায়াবী পর্দা দুলে উঠো(১৯৬৯) কাব্যগ্রন্থ গুলো তাকে প্রথম সারির কবি হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করে। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি গল্প লেখার দিকে মনোযোগী হন। ১৯৭৫ সালে তার প্রথম ছোট গল্পগ্রন্থ পানকৌড়ির রক্ত প্রকাশিত হয়। ১৯৯৩ সালে বের হয় তার প্রথম উপন্যাস কবি ও কোলাহল। আল মাহমুদ সাংবাদিক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পরে তিনি দৈনিক গণকন্ঠ পত্রিকাত সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। তিনি স্বাধীনতা পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকারের সময় একবার জেল খাটেন । পরে তিনি শিল্পকলা একাডেমীতে যোগদান করেন এবং পরিচালক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। [৩]
#প্রকাশিত গ্রন্থ• লোক লোকান্তর (১৯৬৩)• কালের কলস (১৯৬৬)• সোনালী কাবিন (১৯৬৬)• মায়াবী পর্দা দুলে ওঠো (১৯৭৬)• আরব্য রজনীর রাজহাঁস• বখতিয়ারের ঘোড়া• Al Mahmud In English• দিনযাপন• দ্বিতীয় ভাংগন• একটি পাখি লেজ ঝোলা• আল মাহমুদের গল্প• জিবরাইলের ডানা• গল্পসমগ্র
• প্রেমের গল্প• যেভাবে গড়ে উঠি• কিশোর সমগ্র• কবির আত্নবিশ্বাস• কবিতাসমগ্র• কবিতাসমগ্র-২• পানকৌড়ির রক্ত• সৌরভের কাছে পরাজিত• গন্ধ বণিক• ময়ূরীর মুখ• না কোন শূণ্যতা মানি না• নদীর ভেতরের নদী• পাখির কাছে , ফুলের কাছে• প্রেম ও ভালোবাসার কবিতা• প্রেম প্রকৃতির দ্রোহ আর প্রার্থনা কবিতা
• প্রেমের কবিতা সমগ্র• উপমহাদেশ• বিচূর্ণ আয়নায় কবির মুখ• উপন্যাস সমগ্র-১• উপন্যাস সমগ্র-২• উপন্যাস সমগ্র-৩• ত্রিশেরা[৪]• উড়াল কাব্য[৫]