|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : সচরাচর আমরা বিশ্বভারতীতে যে ধরনের বসন্ত উৎসব দেখে থাকি সেই ধরণের বসন্ত উৎসব দেখা গেল না এই বছর। এই বছর বললে অবশ্য ভুল হবে, কারণ গত দুবছর ধরেই সর্বসাধারণের জন্য বসন্ত উৎসব বন্ধ রয়েছে বিশ্বভারতীতে। যে বসন্ত উৎসবের জন্য সারা বছর জেলা রাজ্য তথা দেশ বিদেশের মানুষ তাকিয়ে থাকেন সেই বসন্ত উৎসব না হওয়াই স্বাভাবিক ভাবেই মন খারাপ শান্তিনিকেতন প্রেমীদের। তবে এই বছর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বসন্ত উৎসবের আয়োজন না করলেও অন্য ধরনের এক বসন্ত উৎসবের দেখা মিলল বিশ্বভারতীতে। বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা সমবেতভাবে এই বসন্ত উৎসবের আয়োজন করেন। তাদের এই বসন্ত উৎসবের মধ্য দিয়েই তারা প্রতিবাদের সুর তুলেছেন। এদিন এই বসন্ত উৎসব উপলক্ষে তারা উপাসনা গৃহ থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করেন। ওরে গৃহবাসী খোল দ্বার খোল গানে সেই শোভাযাত্রা পৌঁছে যায় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবন পর্যন্ত। সেখানে তারা উপাচার্যের বাসভবনের প্রবেশদ্বারে আবির ছিটিয়ে দেয় এবং তারপরেই শুরু হয় নিজেদের মধ্যে আবির খেলা। এই বছর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বিশ্বভারতীতে বসন্ত উৎসব আয়োজন না করার কারণ হিসেবে বর্তমান বিশ্বভারতীর অচলাবস্থাকে দায়ী করেছে। পড়ুয়াদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তারা এই বছর অনেক আশা করেছিলেন বিশ্বভারতীতে অন্যান্য বছরের মতোই বসন্ত উৎসব আয়োজিত হবে। কিন্তু তারা না হওয়ার কারণে তারা নিজস্ব সংবাদদাতা : এমন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছেন। শুধু তাই নয় এদিন বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের এই বসন্ত উৎসবের মধ্য দিয়েই উপাচার্য হটাও, বিশ্বভারতী বাঁচাও শ্লোগান তুলতে দেখা যায়। কেউ কেউ আবার শ্লোগান তোলেন, উপাচার্যকে চিনে নিন, ওএলএক্স-এ বেচে দিন। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, এই বছর নিয়ে পরপর তিন বছর বিশ্বভারতীতে সর্বসাধারণের জন্য বসন্ত উৎসবের আয়োজন হলো না। ২০২০ সালে সমস্ত কিছুর আয়োজন প্রায় শেষের দিকে পৌঁছে গেলেও সেই বছর হঠাৎ করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাতিল হয় বসন্ত উৎসব। আর তারপর থেকেই টানা তিন বছর ধরে বন্ধ রইল বিশ্বভারতীর বসন্ত উৎসব।