অনুষ্ঠান ও বিয়েবাড়িতে বেঁচে যাওয়া খাবার ক্ষুদার্ত মানুষদের মধ্যে বিতরণ করে চলেছে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন

ওয়েব ডেস্ক, নতুন গতি:- মালদা জেলার নতুন আলো বলে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অনুষ্ঠান ও বিয়েবাড়িতে বেঁচে যাওয়া খাবার ক্ষুদার্ত মানুষদের মধ্যে বিতরণ করে চলেছে প্রায় তিন বছর ধরে। লক্ষ লক্ষ মানুষ না খেয়ে সারা সারা দিন রাত কাটিয়ে দেন,শুধুমাত্র একমুঠো খাবারের আশায়। খাবারের জন্য অনেক কষ্ট ও লড়াই করতে হয় সমাজে। বিভিন্ন রেল স্টেশন, রাস্তার ধার গুলো দেখলে বোঝা যায়, না খেয়ে কতো মানুষ ছটপট করছে। মালদা জেলার এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নতুন আলো প্রায় তিন বছর থেকে মালদা জেলায় এই খাবারের কাজ করে চলেছে রেল স্টেশন ও ফুটপাতে শুয়ে থাকা মানুষদের জন্য। তাদের মুখে অন্ন তুলে দিচ্ছে এই সংস্থাটি। বিভিন্ন বিয়েবাড়ি বা অনুষ্ঠানে খাবার যদি বেঁচে যায় তারা ছুটে যায় সেই সব বিয়ে বাড়ি বা অনুষ্ঠানবাড়ি। ২০১৮ থেকে কিছু স্কুল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা মালদা জেলায় এই কাজ করছে।

    ‘নতুন আলো’ সংগঠনের নির্মাতা আলমগীর কে আমাদের সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, কি ভাবে এই কাজ শুরু হয় আর কি ভাবে এই কাজে সফলতা পান আপনারা? আলমগীর জানান “আমরা বিভিন্ন রকম সামাজিক কাজ কর্মের সাথে যুক্ত যেমন রক্ত, চিকিৎসা,পড়াশুনা আরও অনেক রকম। তার মধ্যে অন্যতম হলো এই কাজটা। অনেকদিন থেকে মাথায় ছিল যে বিয়ে বাড়ি বা অনুষ্ঠান বাড়িতে অনেক খাবার নষ্ট হয়, আমরা নিজের চোখে দেখেছি নষ্ট হয়ে যেতে। আমি একদিন ফেসবুকে পোস্ট করি বিয়ে বাড়ি বা অনুষ্ঠান বাড়ির খাবার আপনারা ফেলবেন না আমাদের দিন আমরা সেই খাবার আপনাদের থেকে নিয়ে দুস্থ মানুষ যারা রেল স্টেশন, ফুটপাতে বা গ্রামের অনাহারে থাকা মানুষ তাদের মধ্যে বিতরণ করে দিবো। সেই প্রথম পোস্ট করাতে শেয়ার প্রচুর পরিমাণে হয় এবং কিয়েক দিনের মাথায় আমাদের কাছে ফোন আসে এবং আমরা সফল হয়ে যায়। আমি এবং টিমের এই কাজে যারা জড়িত সকলেরই ফোন ২৪ঘন্টা খোলা থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফোন অনেক রাত্রি বেলা আসে,

    বিশেষ ভাবে রাত্রি ১টার পরে। সম্ভব হলে তখনই খাবার আমরা তুলে নিয়ে আসি নাহলে সকাল সকাল গিয়ে নিয়ে আসি। আমাদের কাজ চলছে আর আগামীতে আমরা এই কাজ একই ভাবে চালিয়ে যাবো।”
    রাজনৈতিক থেকে বিশিষ্টজনেরাও এই মহৎ কাজের প্রশংসা করেছেন। সংস্থার সদস্য রাহুল, ফারহাদ, কারান, নুসরাতদের সাথে কথা বললে তারা আমাদের জানান আমাদের এই কাজে যদি কেউ একটা ডিপ ফ্রিজ, কিছু বালতি, গামলা, নৌকা ও চামচ দিয়ে সাহায্য করলে খুব ভালো হয়।