মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে “শিক্ষা রত্ন” পুরস্কার পেয়ে আপ্লুত সুন্দরবনের শিক্ষক

নবাব মল্লিক, রায়দিঘী: অনুপ কুমার গোস্বামী বাবার নাম মৃত বীরেশ চন্দ্র গোস্বামী, বর্তমানে মথুরাপুর ২নম্বর ব্লকের নন্দকুমার পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মধুসূদন চক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। শিক্ষার হাতে-খড়ি প্রথম ওই প্রাইমারি স্কুলে। পরবর্তীকালে লেখাপড়ার পাট চুকিয়ে ১৯৯২সালে সহকারি শিক্ষক হিসেবে জয়েন্ট করেন মধুসূদন চক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পরবর্তীকালে ১৯৯৭ সালে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর আর থেমে থাকেননি তিনি। কি করে নিজের স্কুল টা কে রাজ্যের মধ্যে মডেল স্কুল হিসেবে গড়ে তুলবেন দিনরাত চিন্তা ভাবনার মধ্যে থাকতেন। আস্তে আস্তে সহকারি শিক্ষক স্কুলের ছাত্র ছাত্রী অভিভাবক অভিভাবিকা স্কুল কমিটির লোকজনের সহযোগিতায় স্কুলটাকে সাজিয়ে তোলার চেষ্টা করেন। প্রথম দিন থেকেই একটার পর একটা অভিনব কর্মকান্ড করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। তার নেওয়া শিশু সংসদ নির্বাচন, ঠাকুরমা ঠাকুরদার ঝুলি, গাছের জন্মদিন, শিক্ষার্থীদের জন্মদিন, আমাদের কর্মসূচি ডিজিটাল মার্কসিট, বিদ্যালয় ব্যবস্থা, বৃক্ষরোপণ, নির্মল বিদ্যালয় অভিযান, শারদীয় শুভেচ্ছা, জল ধরো জল ভরো , ১৪ মাসের কর্মসূচি রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামের শিক্ষানুরাগী সহ সকলকে মুগ্ধ করেছেন। বিদ্যালয়ের সামাজিক করনের অন্যান্য ভূমিকা পালন করেছেন অনুপ বাবু। তার ফলস্বরূপ ২০১২ সালে “নির্মল বিদ্যালয়” পুরস্কার পান । ” শিশু মিত্র বিদ্যালয়” পুরস্কার পান ২০১৬ সালে। ২০১৭ সালে স্কুলের ৭৫ বছরে প্লাটিনাম জুবিলী পালন করেন মহাসমারোহে। ২০১৮ সালে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জির হাত থেকে “যামিনী রায় মর্যাদা সম্পন্ন শংসাপত্র”পুরস্কার তুলে নেন। রাজ্যের সর্বত্র সাড়া পড়ে যায় সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় এরকম একটি স্কুল উঠে আসায়। যার অক্লান্ত পরিশ্রমে এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্থান সেই অনুপ কুমার গোস্বামী আজ “শিক্ষারত্ন পুরস্কার “নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী হাত থেকে নিয়ে গ্রামের শিক্ষক গ্রামে ফিরছেন। জানাযায় রাজ্যের মাত্র ৪০জন এই সম্মানে সম্মানিত হচ্ছেন! তাদের মধ্যে দক্ষিণ ২৪পরগনা জেলায় কেবলমাত্র প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক অনুপ বাবু মনোনীত হয়েছেন। এত বড় পুরস্কার নিয়ে তাদের শিক্ষক গ্রামে ফিরছেন সেই কথা ভেবেই এলাকার মানুষ আপ্লুত।