|
---|
“উদয়ন মাষ্টারের বিকল্প খুঁজে পাবে বাংলা? উদয়ন মাষ্টার না থাকলে অহংকারী রাজাকে তার রাজাসন থেকে কে টেনে নামাবে? উদয়ন মাষ্টাররা চিরকাল জীবনের পাঠশালার শিক্ষক, মৃত্যু উদয়ন মাষ্টারদের, পাঠশালা নয়”
নতুন গতি প্রতিবেদক : অপু আর নেই! প্রয়াত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়৷ রবিবার দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলা সিনেমার অন্যতম শ্রেষ্ঠ অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ৷ তাঁর মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে শেষ হলো এক যুগের৷ শুধু সিনেমা নয়, সাহিত্য, রাজনীতি, কবিতা সব ক্ষেত্রেই ছিল তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি৷ তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫৷
১৯৩৫ সালের জানুয়ারি মাসের ১৯ তারিখ জন্ম হয় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ৷ চট্টোপাধ্যায় পরিবারের আদি বাড়ি ছিল অধুনা বাংলাদেশের কয়া গ্রামে। তবে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ঠাকুরদার সময় থেকেই চট্টোপাধ্যায় পরিবারের সদস্যরা নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরে থাকতে শুরু করেন। বাবার বদলির চাকরি কারণে ক্লাস ফাইভের পর হাওড়ায় চলে আসেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ৷ সেখানেই স্কুলে পড়াশুনো ৷ তারপর কলকাতার সিটি কলেজে বাংলা নিয়ে পড়তেন তিনি ৷
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুসংবাদ পেয়েই হাসপাতালে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেই প্রয়াত অভিনেতার কন্যা পৌলমী বসু জানান, বেলভিউ হাসপাতাল থেকে বেলা ২ টো নাগাদ সৌমিত্রবাবুর মরদেহ বের করে প্রথমে গল্ফগ্রিনের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে৷ সেখান থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হবে টালিগঞ্জের টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে৷ অভিনয় জগতের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত তাঁরা সেখানেই প্রয়াত অভিনেতাকে শেষশ্রদ্ধা জানাবেন৷ এর পর বেলা সাড়ে তিনটের মধ্যে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে রবীন্দ্র সদনে৷ সেখানেই সাড়ে তিনটে থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ৷
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কেওড়াতলা মহাশ্মশানে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে গান স্যালুট দিয়ে কিংবদন্তি অভিনেতাকে সম্মান জানানো হবে৷ এর পর হবে শেষকৃত্য৷