আরামবাগ রিসর্টে সমাজসেবী জিয়াজুর রহমানের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো সর্বধর্ম সভা

নুর মোহাম্মদ খান- আরামবাগ: আরামবাগের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সমাজসেবী এবং আরামবাগ রিসর্ট এন্ড ওয়াটার পার্ক এর কর্ণধার সৈয়দ জিয়াজুর রহমানের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো একটি সর্বধর্ম সভা যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ধর্মের ধর্মগুরুরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখতেই জিয়াজুর সাহেবের এই উদ্যোগ বলে জানা গেছে কোভিড- ১৯ করোনা ভাইরাস এর জেরে আতঙ্কিত সারাবিশ্ব প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও কোরনা জেরে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন আর এই লকডাউনে মানুষ হয়েছে কর্মহীন সেই কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বিভিন্ন ব্যক্তি এবং বিভিন্ন সংগঠন ঠিক তেমনই একজন সমাজসেবী ব্যক্তি সৈয়দ জিয়াজুর রহমান যিনি লকডাউন এর প্রথম দিন থেকেই দুঃস্থ মানুষদের পাশে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন পুরো আরামবাগ এলাকা জুড়ে গরীব এবং দুঃস্থ মানুষদের জন্য খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, নগদ অর্থ সাহায্য, কমিউনিটি কিচেন, বিনামূল্যে সবজি বাজার । এছাড়াও আমফান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কথা ভেবে সুদূর সুন্দরবন এলাকায় গিয়ে গৃহহীন দুঃস্থ মানুষদের জন্য বিপুল পরিমাণে ত্রাণ সামগ্রী এবং নগদ টাকা সাহায্য করে এসেছেন । এবার রাজ্যজুড়ে যখন সাম্প্রদায়িক অসহিষ্ণুতার বাতাবরণ তৈরি হতে চলেছে ,সেই সাম্প্রদায়িক অসহিষ্ণুতাকে রুখতে সর্ব ধর্মের মানুষকে নিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে একটি সর্বধর্ম সভার আয়োজন করেন তিনার তৈরী ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান আরামবাগ রিসোর্ট এন্ড ওয়াটার পার্ক এর মিটিং হলে । সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন কামারপুকুর মিশন ও মঠের মহারাজ, আরামবাগ চার্জের ফাদার মানস সাহা, সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্ট এর প্রতিনিধি , আরামবাগ বড় মসজিদের ইমাম, ফুরফুরা দরবার শরীফের মুখ্য নির্দেশক পীরজাদা ত্বোহা সিদ্দিকী সহ বিশিষ্ট ধর্মগুরুরা । সামাজিক দূরত্ব মেনেই শুরু হয় আলোচনা । শুরুতেই অনুষ্ঠানের আহ্ববায়ক সৈয়দ জিয়াজুর সাহেব বলেন : “মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু- মুসলমান । মুসলিম তার নয়ন-মনি হিন্দ তাহার প্রাণ।” অর্থাৎ স্বাধীনতাত্তোর সময় থেকে এখন পর্যন্ত ভারতবর্ষে যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আছে এই সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে । পীরজাদা ত্বোহা সিদ্দিকী বলেন: “এ ভারত বর্ষ যতদিন থাকবে বাজাই থাকবে হিন্দু মুসলমান খ্রিস্টান সর্ব ধর্মের সম্প্রীতি দু একজন উগ্র সাম্প্রদায়িক মানুষের বক্তব্যে সম্প্রীতি নষ্ট হবে না” । এছাড়াও সকল ধর্মের ধর্মগুরুরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দেন । অনুষ্ঠান শেষে সমাজসেবী জিয়াজুর রহমান সকল ধর্ম গুরুদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেন এবং পাশে থাকার বার্তা দেন । অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলেই জিয়াজুর সাহেবের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন । শেষে এই অতিমারি থেকে বাঁচতে এবং বিশ্বমানব কল্যাণের জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয় ।