|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা: ধর্মবিশ্বাসকে কেন্দ্র করে গোটা দেশেই যখন জ্বলছে অশান্তির আগুন, তখন অন্য চিত্র দেখা গেল আলিপুরদুয়ারে। সেখানে এক মুসলিম পরিবার সানন্দে আশ্রয় দিয়েছে হিন্দু কন্যা প্রতিমা দাসকে। শুধু তাই নয়, পালিত হিন্দু মেয়ের গলায় তুলসীর মালা থাকায় নিজেদের খাদ্যাভ্যাস বদলে ফেলেছেন প্রতিমার নতুন ‘আব্বু’ ও ‘আম্মু।’ শুরু করেছেন নিরামিষ খেতে।
আলিপুরদুয়ারের ভোলারডাবরী গ্রামের বাসিন্দা প্রতিমা দাস রাজ্য স্তরের থ্রো-বল খেলোয়াড়। বাবা সামান্য কৃষক, মা গৃহবধূ। রয়েছে আরও দুই ভাই বোন। তিন ছেলেমেয়েকে নিয়ে সংসার টানতে নাজেহাল অবস্থা প্রতিমার বাবা প্রদীপ দাসের। স্নাতক স্তরের পড়াশোনা করার জন্য আলিপুরদুয়ার ছেড়ে প্রতিমা ভর্তি হন কলকাতার একটি কলেজে। কিন্তু অতিমহামারী ও দারিদ্রের কারণে মাঝপথে ছেড়ে দিতে হয় উচ্চশিক্ষার
পড়াশোনায় ইতি পড়লেও থ্রো-বল খেলা চালিয়ে যান প্রতিমা। ২০১৯ সালে রাজ্যস্তরের প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়নও হন তিনি। খেলার সূত্রেই পরিচয় হয় মৌসুমী পারভিনের সঙ্গে। মৌসুমীর বাড়ি রাঙালিবাজনার নবিপুরে।
খেলা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি স্বাবলম্বী হওয়ার ইচ্ছে ক্রমশ চাগাড় দিয়ে ওঠে প্রতিমার মাথায়। মোমোর দোকান খুলবেন ঠিক করেন তিনি। ফাস্ট ফুডের দোকান খোলার জন্য বেছে নেন নবিপুরকেই। সন্তানজ্ঞানেই প্রতিমাকে নিজেদের বাড়িতে আশ্রয় দেন মৌসুমীর বাবা মা মমিনুদ্দিন সাহেব এবং লাভলি বেগম। তারপর থেকেই প্রতিমারও ‘আব্বু’ আর ‘আম্মু’ হয়ে উঠেছেন মৌসুমীর বাবা মা।
লাভলি বেগমও মানিয়ে নিয়েছেন নিজের হিন্দু মুসলমান সন্তানদের নিয়ে।