আসানসোলে কম্বল বিতরণে প্রাণহানি ঘটনায় মামলা, অভিযুক্ত সস্ত্রীক জিতেন্দ্র তেওয়ারি 

সম্প্রীতি মোল্লা, আসানসোল যে ঘটনা কে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্ট থেকে কলকাতা হাইকোর্টে এলো।যদিও এই বিষয়ে কোন নির্দেশ জারি করেনি আদালত। এরেই মধ্যে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলে কম্বল বিতরণী অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় এফআইআর  দায়ের করলেন নিহতের পরিবার। আসানসোল  উত্তর থানায় দায়ের হওয়া এফআইআরে নাম রয়েছে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও তাঁর স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারির। তবে  শুভেন্দু অধিকারীর নাম নেই কোথাও। শুভেন্দুর বিষয়টি বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্টের বিবেচনাধীন রয়েছে। গত বুধবার সন্ধেবেলায় আসানসোলে ‘শিবচর্চা’ অনুষ্ঠানে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী । তিনি প্রতীকী কম্বল বিতরণের পর চলে যাওয়ার পর কম্বল নেওয়ার ভিড় হয় বৃদ্ধি ঘটে। ভিড়ে পদপিষ্ট হয়ে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘিরে  তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি মহল।ওইদিন মৃত্যু হয় আসানসোলের কাল্লার বাসিন্দা ঝালি বাউড়ির। তাঁর ছেলে সুখেন শুক্রবার আসানসোল উত্তর থানায় এফআইআর দায়ের করেন। কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় আসানসোল উত্তর থানায় পুলিশ জিতেন্দ্র তিওয়ারি, তাঁর স্ত্রী চৈতালি-সহ তাঁর ঘনিষ্ঠ ও বিজেপি কর্মীদের নামে অভিযোগ দায়ের করেছে। ওইদিনের অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক ছিলেন কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারি। তাঁকে সবরকমভাবে সাহায্য করেছিলেন আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি।পুলিশ সূত্রে প্রকাশ  ঘটনার পর তদন্তের অংশ হিসেবে গভীর রাতে স্থানীয় কয়েকজন বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। বিশেষত সেদিন মঞ্চে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের খোঁজে নামে পুলিশ। কিন্তু কাউকেই বাড়িতে পাওয়া যায়নি । তবে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানান আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার  সুধীর কুমার নীলকণ্ঠম।  কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ । ডিসি ওয়েস্ট অভিষেক মোদির তত্বাবধানে পুরো ঘটনার তদন্ত করছে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ বলে জানা গেছে ।