|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুর: গবেষকদের গবেষণায় উঠে হলো রাজ্যে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের বৃদ্ধির মূল কারণ বিধানসভা নির্বাচন। পশ্চিমবঙ্গের করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বাড়বাড়ন্ত যে আসলে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের ফলশ্রুতি ছিল তা আবারও একবার প্রমাণ করলো মেদিনীপুর সিটি কলেজের পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক তথা বিজ্ঞানী ড. সব্যসাচী পাল ও তাঁর টীমের তথ্য ভিত্তিক বৈজ্ঞানিক গবেষণা I
অধ্যাপক পাল তাঁর সঙ্গী গবেষকরা গবেষণা তথ্য ভিত্তিক বৈজ্ঞানিক গবেষণা করে দেখাচ্ছেন, পশ্চিমবঙ্গে করোনার প্রথম ঢেউয়ের থেকে দ্বিতীয় ঢেউ কার্যত চারগুণ বেশি সক্রিয় ছিল I অতিমারি করোনার প্রথম ঢেউ যখন কিছুটা হলেও স্তিমিত হয়ে আসছিল, ঠিক সেই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে সাত দফায় নির্বাচন ঘোষণা করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউকে একরমক অভ্যর্থনা জানিয়ে ডেকে আনা হয়েছিল বলে মনে করছেন বিজ্ঞানী সব্যসাচী পাল I পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি তামিলনাড়ু, কেরালা, অসমের নির্বাচন যথাক্রমে এক,এক ও চার দফায় ঘোষণা হল, সেখানে পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে সাত দফায় নির্বাচন করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার পথ অনেকটাই সুগম করা হয়েছিল,।অধ্যাপক পাল ও তাঁর সঙ্গীরা এসআইআর, এসআইআরডি, এসইআইআর-এর মডেল ভিত্তিক তৈরি করা করোনার মডেল অনুযায়ী প্রমাণ করেছেন, নির্বাচনের সময় দ্বিতীয় ঢেউয়ে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে সংক্রমণের হার ও মৃত্যুর হার সবচেয়ে ঊর্ধ্বমুখী ছিল I নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের লাগামছাড়া জমায়েত, অবাধে রোড শো,রেলি হয়েছে, মিছিলে কোনও সতর্কতাই অবলম্বন করা হয়নি I তিনি এটাও বলেছেন, বাকি রাজ্যেগুলির মত কম দফায় নির্বাচন সংঘটিত হলে সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকত I সতর্কীকরণ বার্তা শেষের দুই দফায় বলবৎ হলেও সংক্রমণ ততদিনে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে পরিস্থিতিকে অনেকটাই নাগালের বাইরে করে দিয়েছিল I তবে শেষে অধ্যাপক পাল তার অনুপাত ভিত্তিক গ্রাফে এটাও দেখাচ্ছেন যে, তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পূর্বে যদি মানুষজন অতিমাত্রায় সতর্ক না হোন তবে তার পরিণতি ভয়ানক হবার সম্ভাবনা রয়েছে । শিশুদেরও তার হাত থেকে রেহাই মিলবে না I পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক ও গবেষকদের এই রিপোর্টকে মান্যতা দিয়ে মহাবিদ্যালয় এর কর্ণধার প্রদীপ ঘোষের আবেদন, নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে সবাই যেন সরকারের ঘোষিত করোনা বিধি ও বিশেষজ্ঞদের ঘোষিত স্বাস্থ্য বিধি অবলম্বন করে চলেন।