|
---|
উজির আলী,নতুন গতি,চাঁচল;২০ এপ্রিল
আর্থিক অস্বচ্ছলতা দূর করতে সপরিবারে পাড়ি দিয়েছিলেন ভিনরাজ্যে। তবে তা ভিন রাজ্যেই সমাপ্তি লকডাউন আবহে। মালদহের চাঁচল ১ নং ব্লকের ভবানপুর জিপির দক্ষিন কালিগঞ্জের সুলতান আলী(৩৮) মুম্বাইয়ের বান্দ্রাতেই দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন।
পরিবার জানায়, ছয়মাস হল শেষ একবার গ্রামের বাড়ীতে এসেছিলেন সুলতান পরিবার নিয়ে, আর আসা হলোনা।
বৃদ্ধ বাবা আব্বাস আলী অশ্রু ঝড়ে বলেন, রবিবার দুপুর ১ টা নাগাদ বড়ো ছেলের মৃত্যু সংবাদ আসে।
মৃত্যুর খবর শুনে গোটা কালিগঞ্জ গ্রামে এখন শুধু শোকের ছায়া। দেহ গ্রামে না ফিরায় আরো উদ্বেগ উৎকন্ঠা বিরাজ করেছে গ্রামের পরিবারে তিন বিবাহিত ও মা-বাবার কান্নার রোল বইছে এখন গ্রামের বাড়িতে। যদিও গ্রামে দেহ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগী হয়েছিল মুম্বাইয়ে কর্মরত গ্রামে কিছু সহকর্মী ও তিনভাই। তবে লকডাউন আবহে অসম্ভব হয়ে উঠল।
মৃত্যের ভাই শরীফ আলী ও মিনারুল আলী ফোনে জানায়, দাদা দীর্ঘদিন ধরেই হৃদরোগে ভুগছিলেন বাড়ি যাওয়ারও কথা ছিল। তবে লকডাউনে আটকে পড়েন। শনিবার হৃদরোগে আক্রান্ত হলে মুম্বাইয়ের বান্দ্রার মাইন সাইন সরকারি হাসপাতালে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয়।
রবিবার দুপুর ১২ টা নাগাদ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সুলতান আলী।
গ্রামের স্হানীয় নজেমুল হক জানান, ওখানকার বাসিন্দা সহ তিনভাইয়ের উদ্যোগে মুম্বাইয়ের স্থানীয় কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে রবিবার রাতে বলে জানা গেছে।
ছেলের রোজগারেই চলে বৃদ্ধ বাবা মায়ের সংসার। ছেলে মাসে মাসে টাকা পাঠিয়ে দিত। বড় জেলের মৃত্যুতে দিশেহারা মা শরিফা বিবি। কিভাবে চলবে সংসার।
সরকারি কোনো বার্ধক্য ভাতা ও নেই বাবার। এছাড়াও ছেলের তিন নাবালক কন্যা সন্তান রয়েছে। কিভাবে মানূষ হবে তারা চিন্তার ভাঁজ পড়েেছে বৃদ্ধা দাদুর।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে লকডাউন ছুটলেই তারা গ্রামের বাড়িতে ফিরবে। এখন শুধু লকডাউন ছুটার অপেক্ষায় রয়েছে পরিবার।
এপ্রসঙ্গে চাঁচল ১ নং ব্লকের বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য্য বলেন, আবেদন করলে পরিবারটি সরকারি তরফে সাহায্য করা হবে, বার্ধক্যভাতার বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগী হব।