এঁচোড়ের বর্তমানে চাহিদা অনেক বেশি নদিয়ার মাজদিয়া থেকে এঁচোড় রফতানি হচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়

নিজস্ব সংবাদদাতা : পাকা কাঁঠাল খেতে পছন্দ করেন না অনেকেই। তবে কাঁচা কাঁঠাল বা এঁচোড় হিসেবে রান্না করে পাতে দিলে সেটি তৃপ্তি করে খান অনেকেই। কাঁচা কাঁঠালকে সাধারণত আমরা বলে থাকি এঁচোড়। এই এঁচোড়ের বর্তমানে চাহিদা অনেক বেশি। এবছর কাঁঠালের ফলনও হয়েছে যথেষ্ট ভালো। তাই নদিয়ার মাজদিয়া থেকে এঁচোড় রফতানি হচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়৷ এমনকি নদিয়ার কাঁঠাল যাচ্ছে ভিনরাজ্যেও।

    গত দু’বছর লকডাউন থাকার কারণে সেভাবে আমদানি এবং রফতানি করা সম্ভব হয়নি। তবে এ বছর বিধিনিষেধ না থাকায় নদিয়া থেকে প্রচুর পরিমাণে কাঁঠাল রপ্তানি হচ্ছে গোটা দেশ জুড়ে। এমনটাই দাবি চাষিদের৷ মাজদিয়ার চাষিরা গ্রাম থেকে কাঁঠাল পেরে নিয়ে এসে এক জায়গায় জড়ো করেন। একসঙ্গে দেখে এঁচোড়ের ছোটখাটো একটি পাহাড় বলে মনে হয়।ওই কাঁঠাল আড়তদারদের কাছে বিক্রি করেন চাষিরা। প্রতি পিস কাঁঠালের দাম চাষিরা পাচ্ছেন ১২ থেকে ১৪ টাকার মধ্যে, যা গতবারের তুলনায় কিছুটা বেশি বলেই জানালেন স্থানীয় এক আড়তদার।তিনি আরও জানালেন, গত দু’বছর করোনা মহামারির কারণে সেভাবে ব্যবসা করা হয়নি। তবে গত দুই বছরের তুলনায় এবছর এঁচোড়ের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।দিল্লি থেকে নদিয়ায় এঁচোড় নিতে এসে এক ব্যবসায়ী জানালেন, দিল্লিতে এই কাঁঠাল চাষ করা হয় না,তাই সুদূর দিল্লি থেকে মাজদিয়া এসেছি নিতে। এই কাঁঠাল সেখানে মূলত তরকারি হিসেবেই রান্না করে খাওয়া হয়৷ যদিও পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ওড়িশা, কেরল-সহ কিছু রাজ্যে এই কাঁঠাল পাওয়া যায়।