|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা মেদিনীপুর…* অবসান হলো একটা অধ্যায়ের, প্রয়াত হলেন সম্পাদক-সাংবাদিক বাচস্পতি দাস।শুক্রবার রাতে প্রয়াত হলেন মেদিনীপুর শহর থেকে প্রকাশিত অখন্ড মেদিনীপুর জেলার একসময়ের অন্যতম দৈনিক সংবাদপত্র “ছাপাখবর” এর সম্পাদক বাচস্পতি দাস।
৬৩ বছরের বাচস্পতিবাবু ২০১৪ সাল থেকে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। মাঝে মাঝেই অসুস্থ হয়ে পড়তেন। বিগত কয়েক মাস ধরে নিয়মিত ভাবে তাঁর ডায়ালিসিস চলছিল মেদিনীপুর শহরের একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে। শুক্রবার তাঁর ছেলেরা তাঁকে ডায়ালিসিস করাতে নার্সিং হোম নিয়ে গিয়েছিলেন। নার্সিংহোমেই সন্ধ্যা ৮ টা ৫০ মিনিট নাগাদ তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। জরুরী ভিত্তিতে তাঁকে আই সি ইউ তে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয় নি। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই মেদিনীপুরের সাংবাদিক মহলে ও বাচস্পতিবাবুর পরিচিত মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে। অনেকেই নার্সিং হোমে ছুটে যান।রাতেই শহরের পদ্মাবতী শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। বাচস্পতি বাবু রেখে গেলেন হীরা দাস, দুই পুত্র অভিজিৎ দাস ও শুভজিৎ দাস এবং পুত্রবধূ সায়ন্তী দাসকে। সদাহাস্য,মিতভাষী বাচস্পতি বাবু, বন্ধু ও সাংবাদিক মহলে “বাচ্চুদা” নামে সর্বাধিক পরিচিত ছিলেন। বাচস্পতি বাবু ১৯৫৭ সালে মেদিনীপুর শহরের মাণিকপুরে জন্মগ্রহণ করেন। বাচস্পতি বাবুর পিতা শ্যামাপদ দাস মিষ্টি দোকানের কর্মচারী ছিলেন। প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করা বাচস্পতিবাবু অল্প বয়স থেকেই বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি করতেন।একসময় যুক্ত ছিলেন মেদিনীপুরের অন্যতম দৈনিক বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকার সাথেও। ১৯৯৫ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি থেকে নিজের উদ্যোগে মেদিনীপুর শহরের মানিকপুর থেকেই দৈনিক “ছাপাখবর” পত্রিকার প্রকাশ শুরু করেন। প্রথম দিকে বাণেশ্বর প্রিন্টার্স থেকে ছাপাখবর পত্রিকা ছাপা হতো। ২০১৭ সাল থেকে বাচস্পতি বাবুর শারীরিক অসুস্থতা ও আর্থিক সংকটের কারণে ছাপাখবর পত্রিকার প্রকাশ বন্ধ হয়ে যায়। ছাপাখবর পত্রিকায় শিক্ষানবীশ সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করে আজ মেদিনীপুর বহু সাংবাদিক রাজ্যের অনেক কটা প্রথম সারির দৈনিকে সাংবাদিকতার কাজে যুক্ত এবং সাংবাদিক হিসেবে সফল। বাচস্পতিবাবু বছর চারেক আগে শাঁকোটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষকতা জীবন থেকে অবসর নেন।