বৈদ্যবাটীর বনমালী স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্রেরা নিজেদের বাড়িতে থেকেই পালন করলেন ‘বিশ্ব যোগ দিবস’

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: হুগলি জেলার শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্যমন্ডিত উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় বৈদ্যবাটি বনমালী মুখার্জী ইনস্টিটিউশন নিয়ে চলেছে একের পর এক ইতিবাচক পদক্ষেপ। ‘করোনা আবহে’র মধ্যেই এই প্রতিষ্ঠান ছাত্রস্বার্থে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে চলেছে। ইতিমধ্যে বিদ্যালয়ের ছাত্র এবং শিক্ষকরা নিজের বাড়ি থেকেই সাংস্কৃতিক কর্মসূচিতেও অংশগ্রহণ করেছেন। আজ ‘বিশ্ব যোগ দিবস’ উপলক্ষ্যে আবারও এক সুচিন্তিত পদক্ষেপ নিয়েছে বিদ্যালয়।

    সুস্থ আর সুন্দর দেহমন মানব জীবনের বড় সম্পদ। ভেতর থেকে সতেজ ও সবল থাকতে যোগাসন নানা শারীরিক ও মানসিক ব্যাধিতে বিপর্যস্ত আধুনিক জীবনে নতুন করে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। অবশ্য সব সময়ের জন্যই এর গ্রহণযোগ্যতা অতুলনীয়।২০১৪ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জ বিশ্বব্যাপী সুস্বাস্থ্য, সৌভ্রাতৃত্ব ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ২১ জুন দিনটিকে প্রতিবছর ‘আন্তর্জাতিক যোগদিবস’ হিসেবে পালনের ডাক দেয় এবং ২০১৫ সাল থেকে শুরু করে প্রতিবছর এই দিনটি সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে উৎসাহ ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করা হয়।

    এই বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাননীয় শ্রী অমরনাথ ঘোষাল মহাশয় বলেছেন, “বিশ্ব যোগ দিবস পালন করার একটি প্রধান উদ্দেশ্য হ’ল, সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, ভাইরাসের ভয়ঙ্কর আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে সুস্থ থাকা এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে বর্তমানে। তাই এখন আরও বেশি করে যোগাসনের উপযোগিতা বোঝা এবং অনুশীলন করা প্রয়োজন।” বস্তুতপক্ষে সেই বার্তাই সমাজের কাছে তুলে ধরার জন্য তৎপর শতবর্ষ প্রাচীন ঐতিহ্যমণ্ডিত এই বিদ্যালয়ের ছাত্ররা এবং শিক্ষকরা “ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক যোগা দিবস” পালন করেছেন নিজেদের বাড়ি থেকেই। বিদ্যালয়ের এনসিসি বিভাগের ক্যাডেটরাএই ‘বিশ্ব যোগ দিবস’ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন যোগাসন অনুশীলন করে দিনটি বিশেষভাবে পালন করেছেন।

    যোগাসন চর্চার সাহায্যে এই শুভ দিনটি পালনের উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক মহাশয় সহ বিদ্যালয়ের শিক্ষকমন্ডলীও। এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই যে, নিয়মিত যোগাসন চর্চার সাহায্যে বিভিন্ন রোগব্যাধিকে দমন করা যায়, কখনো কখনো বেশকিছু রোগব্যাধি নির্মূলও করা যায়। প্রাচীনকাল থেকে ভারতবর্ষে এই যোগাসন এক মহৌষধি রূপে প্রযুক্ত হয়ে আসছে। এই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রের দল নিজেদের বাড়িতে থেকেই যোগাসনের অনুশীলন করে সমাজকে সেই বার্তা দেবার জন্য এগিয়ে এসেছেন। প্রধান শিক্ষক আরও জানিয়েছেন, “এভাবেই বিভিন্ন ইতিবাচক কাজ বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে বিদ্যালয় নানা বাধা-বিপত্তির মধ্যেও কর্তব্যনিষ্ঠ সহকর্মী,ছাত্র, অভিভাবক এবং স্থানীয় মানুষদের সাহায্যে অবশ্যই এগিয়ে যাবে।”