রাসায়নিক ব্যবহার করে রাতের অন্ধকারে দামোদর নদ থেকে লুঠ হয়ে যাচ্ছে কোটি কোটি টাকার মাছ বিপাকে হাজার হাজার মৎস্যজীবী

নিজস্ব সংবাদদাতা : অবাক কাণ্ড! রাসায়নিক ব্যবহার করে রাতের অন্ধকারে দামোদর নদ থেকে লুঠ হয়ে যাচ্ছে কোটি কোটি টাকার মাছ।বিপাকে দামোদর নদ সংলগ্ন বসবাসকারী হুগলি হাওড়া বর্ধমান জেলার হাজার হাজার মৎস্যজীবী। বর্ধমান, হুগলি ও হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা ছুঁয়ে গেছে এই দামোদর নদ। ফলে একদিকে যেমন মৎস্যজীবীরা সরকারি উদ্যোগের সুবিধে থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, পাশাপাশি তাঁদের বাড়া ভাতে ছাই ফেলছে চোরাকারবারিরা।মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, চোরাকারবারিরা রাতের অন্ধকারে দামোদর নদের জলে বিষ মেশাচ্ছে। বিষক্রিয়ার ফলে তার কিছুক্ষণের মধ্যেই নদের জলে মরে ভেসে উঠছে হাজার হাজার মাছ। সকলের অলক্ষে সেই মাছ নদ থেকে লুঠ করছে চোরাকারবারীরা। মাছ চুরি করে রাতের অন্ধকারে বিপুল পরিমাণ অর্থ মুনাফা লুঠছে। পাশাপাশি নদের জল দূষিত হচ্ছে। দিনের পর দিন এই ঘটনা ঘটছে হাওড়া হুগলি এবং বর্ধমান জেলা ছুঁয়ে যাওয়া দামোদরে নদে। যদিও এই মাছ চুরি রুখতে এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের কোনও উদ্যোগ নজরে পড়েনি।  মূলত হুগলি হাওড়া বর্ধমান জেলার মৎস্যজীবীদের আয় বাড়াতে দামোদর নদে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার চারা মাছ ফেলা হয়। সেই মাছ শিকার করেই সংসার চলে হাজার হাজার মৎস্যজীবী পরিবারের। চোরাকারবারিদের মূল নিশানা থাকে চিংড়ি মাছের উপর। নদে থাকা এই চিংড়ি মাছের দাম বাজারে বেশি, তাই সেই মাছ চুরি করতে পারলে মুনাফাও বেশি হয়। মৎস্যজীবীদের আশঙ্কা, এভাবে ক্রমাগত লুট করা হলে আগামী দিনে নদ থেকে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে চিংড়ি। অভিযোগ, মাসে তিন থেকে চার বার নদের বিভিন্ন এলাকা টার্গেট করে রাতের অন্ধকারে এই কারবার চালানো হচ্ছে। অভিযোগ জানানো হলেও নদের মাছ চুরি ঠেকাতে কোনও হেলদোল নেই প্রশাসনের। এই প্রসঙ্গে হুগলি জেলা মৎস্য দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে আধিকারিকরা পরিষ্কার জানিয়েছেন বিষয়টা তাঁদের জানা নেই। মৎস্যজীবীদের তরফে কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হুগলি জেলাপরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, আগে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে এবং চুরি ঠেকাতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।