মুসলিমদের পবিত্র ঈদুল আজহার উৎসবের দিন পরীক্ষা, বিতর্ক রাজ্যজুড়ে

নতুন গতি: ঈদের ছুটি ন্যাশনাল হোলি ডে যা কেন্দ্র ও রাজ্যসরকার উভয়ের দ্বারা স্বীকৃত কিন্তু সম্প্রতি কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার তারিখকে কেন্দ্র করে বিতর্কের জন্ম নিয়েছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাদের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রীর পরীক্ষার তারিখ ঈদের আগের অর্থাৎ ৯ই জুলাই এবং পরের দিন ১১ই জুলাই রেখেছিল, একই ভাবে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটি, মেদিনীপুর কলেজ (স্বতন্ত্র) এবং ভারতের অন্যতম একটি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সংস্থা NTA UGC-NETUGC-NETএর পরীক্ষার তারিখ ঈদের আগের এবং পরের দিন পরীক্ষা রেখেছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় ঈদের দিন অর্থাৎ ১০ই জুলাই B.A.LLBর চতুর্থ সেমিস্টারের পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করে, এনিয়ে বাংলার বুদ্ধিজীবী সমাজে বেশ বিতর্কের জন্ম দেয়।

    ভূমিপুত্র উন্নয়ন মোর্চা অফ ইন্ডিয়া (ভূমি) একটি বাঙালী জাতীয়তাবাদী সংগঠন, যারা গত তিন বছর ধরে ঈদে তিনদিন ছুটির দাবিতে আন্দোলন করছে। ভূমিযোদ্ধা আরিফ হোসেন আমাদের জানান,”আমরা এসব ইচ্ছাকৃত কিংবা অনিচ্ছাকৃত ভুলগুলি নিয়ে প্রতিবাদ করেছি এবং সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডেপুটেশন দিয়েছি যার দরুন কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাধ্য হয়ে পরীক্ষার তারিখ বদলাতে বাধ্য হয়েছে, ভবিষ্যতেও আমরা এসবের উপর দৃষ্টি রাখব।”

    ভূমির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শেখ আবদুল মুরাদ জানান যে “পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ঈদে তিনদিন ছুটির দাবী জানিয়ে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে।” ভূমির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ড. রামিজ রাজা বলেন যে “ঈদ বাঙালি জাতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। অবিভক্ত বাংলায় ঈদ পালনের ইতিহাস কয়েকশো বছর পুরানো। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি স্থাপন তথা বাংলার অর্থনৈতিক উন্নয়নে ঈদের ভূমিকা অপরিসীম। শিক্ষা, জীবিকা তথা অন্যান্য কারণে উত্তরবঙ্গসহ প্রান্তিক বাঙালিদের বছরে দুই ঈদে তিনদিন করে ছয় দিন ছুটির দাবী মোটেও অন্যায় না।”