বন্ধুর গলায় ছুরি মেরে হত্যার চেষ্টা মেমারিতে, গ্রেপ্তার ১

নিজস্ব সংবাদ, মেমারি : ১ ডিসেম্বর,পরিকল্পনা করে প্রতিবেশী বন্ধুকে ফাঁকা মাঠে নিয়ে গিয়ে গলায় এলোপাথাড়ি ধারালো ছুরির আঘাত করে মেরে ফেলা চেষ্টা অপর প্রতিবেশী বন্ধুর। এমনই এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠে এসেছে মেমারি সুলতানপুর এলাকায়। মেমারি থানায় আহত ওই ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ জানানোর পরেই। অভিযোগের তদন্তে নেমে ওই অপর বন্ধুকে গ্রেপ্তার করল মেমারি থানার পুলিশ বুধবার দিন রাত্রি নাগাদ।ধৃত ব্যক্তির নাম হাসমত মোল্লা, মেমারি পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের সুলতানপুর রেলগেট পাড়া এলাকার বাসিন্দা। ধৃত ব্যক্তিকে বর্ধমান সিজিএম আদালতে তোলা হচ্ছে বৃহস্পতিবার দিনই।।।

    ধারালো ছুরির আঘাতে গুরুতর আহত হয় শেখ ইব্রাহিম।। মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে গতকাল সন্ধ্যা নাগাদ চিকিৎসা করানো হয়।।

    গুরুতরা আহত শেখ ইব্রাহিম তিনি জানিয়েছেন, পুরানো একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে শেখ ইব্রাহিম ও হাসমত মোল্লার একটি বিবাদ এর সৃষ্টি হয়।। সেই ঘটনার পর থেকে দীর্ঘদিন ধরে দুই বন্ধুর মধ্যে কথা বলাও বন্ধ হয়ে যায়।।। পরবর্তী সময়ে গতকাল হঠাৎই ওই বন্ধু ভালোভাবে কথা বলতে শুরু করে শেখ ইব্রাহিমের সঙ্গে।।।। সন্ধ্যা নাগাদ পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানা সুলতানপুর এলাকায় দুই বন্ধুরবাড়ি,, বাড়ির কিছুটা দূরে একটি ফাঁকা মাঠে ডেকে পাঠায় হাসমত মোল্লা শেখ ইব্রাহিমকে,,, কিছুক্ষণ কথা বলার পরবর্তী সময় হঠাৎই পকেট থেকে ধারালো ছুরি বার করে শেখ ইব্রাহিমকে গলায় আঘাত করে, হাসমত মোল্লার দুটি হাত তখন ধরে ফেলে ইব্রাহিম দুজনের মধ্যে টানা হেঁচড়ার ফলে ধারালো ছুরির আঘাতে গলায় গভীর ক্ষত তৈরি হবার পর হাতেও গভীর ক্ষত তৈরি হয়।।।। সেখান থেকে ইব্রাহিম হাসমতকে ঠেলে ফেলে দিয়ে ছুটে পালায়।।। সেখান থেকে সোজা মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে পরিবারের লোকজন চিকিৎসা করানোর পর মেমারি থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে হাসমত মোল্লার নামে।। ওই ঘটনায় বুধবার দিন রাতেই মেমারি থানার পুলিশ অভিযোগ কে তদন্ত শুরু করে সুলতানপুর এলাকায় বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে হাসমত মোল্লাকে। ধৃত হাসমত মোল্লাকে বৃহস্পতিবার দিন বেলায় বর্ধমান আদালতে পেশ করা হচ্ছে বলে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।।।। পরিকল্পনামাফিক ভাবে প্রতিবেশী বন্ধুকে প্রাণে মারার চেষ্টার ঘটনা সামনে আসতেই গোটা মেমারি শহর জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।বর্ধমান আদালতের বিচারক ধৃতকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

    নূর আহামেদ মেমারি