|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক : ক্রাইস্টচার্চের আল নুর মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। টিম বাস আর মিনিট পাঁচেক আগে মসজিদে পৌঁছালেই বড় সর্বনাশ হয়ে যেত। তামিম-মুশফিকেরা নিরাপদেই ঘটনাস্থল থেকে ফিরতে পেরেছেন হোটেলে। তবে চোখের সামনে যা দেখেছেন, সেটা কি চাইলেই ভুলে যাওয়া যায়! মানসিক এ আঘাত কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের।
ক্রাইস্টচার্চের দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে দেশে ফেরার উড়ান ধরেছেন ক্রিকেটাররা। আর রাত ১১টার দিকে ঢাকায় এসে পৌঁছার কথা তাঁদের। নিউজিল্যান্ড ছাড়ার আগে ক্রাইস্টচার্চ বিমানবন্দরে নিজেদের মানসিক অবস্থা বোঝাতে গিয়ে তামিম ইকবাল বলেছেন, ‘আমরা যে ঘটনার সামনে পড়েছিলাম, সেটা থেকে বের হতে সময় লাগবে আমাদের। এখন আমাদের পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়াই ভালো হবে। কারণ পরিবারের সবাই উদ্বিগ্ন। আমি শুধু আশা করছি, দেশে ফিরে দিনে দিনে যেন আমরা এই মানসিক আঘাতটা সামলে উঠতে পারি।’ আজ প্রথম আলোয় লেখা নিজের কলামে বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাও বলেছেন একই কথা, ‘এ ট্রমা থেকে বের হতে আমাদের খেলোয়াড়দের একটু সময় লাগবে। ওদের মানসিক সমর্থন দিতে হবে। চোখের সামনে এত বড় ঘটনা। টিম বাসের ভেতর ওরা অনেকক্ষণ আটকে ছিল। আশা করি এ ধাক্কা তারা দ্রুত কাটিয়ে উঠবে।’
মানসিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে সময় লাগারই কথা। কিন্তু বিশ্বকাপও তো বেশি দেরি নেই। মে মাসের শেষ দিকে শুরু হচ্ছে আইসিসির সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট। সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ অবশ্য মনে করেন বিশ্বকাপের আগেই সবাই কাটিয়ে উঠবে এ ধাক্কা, ‘ওদের কণ্ঠ শুনেই বুঝেছি কতটা ভয় পেয়েছে। যদি চোখের সামনে এমন কিছু দেখেন স্বাভাবিকভাবেই ভীতবিহ্বল হয়ে পড়ার কথা। খেলতে গিয়ে এমন কিছু দেখা ভালো নয়। তবে আমার মনে হয় ছেলেরা যথেষ্ট পরিণত। এমন না যে এই ঘটনা বিশ্বে প্রথম ঘটল। প্রায়ই ঘটছে। বাংলাদেশেও ঘটেছে। আমরা হলি আর্টিজানের ঘটনা জানি, সেটা কতটা নৃশংস ছিল। অবশ্যই একটা ধাক্কা খেয়েছে ছেলেরা, তবে আমার কাছে মনে হয় এখান থেকে তাঁরা দ্রুত ফিরে আসবে। আমার মতে এত চিন্তা করার কিছু নেই। তারা সবাই পরিণত। বুঝেছে যে এমন ঘটনা হতেই পারে। আশা করি দ্রুত এ ধাক্কা কাটিয়ে উঠবে তারা।