করোনা ও লকডাউনের প্রাক্কালে বন্ধ হয়ে গেল ব্যাঙ্ক পরিষেবা, বীরভূমের লোকপুরে

সেখ রিয়াজ উদ্দিন,বীরভূম:- অতিমারি মহামারী করোনার প্রকোপে সমগ্র বিশ্বজুড়ে চলছে তান্ডবলীলা। করোনার রেশ আটকাতে পক্ষকালব্যাপী শুরু হয়েছে পশ্চিম বঙ্গ সরকার ঘোষিত লকডাউন। লকডাউনে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠছে দৈনন্দিন। একদিকে যেমন মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ছে, অন্যদিকে জমানো আর্থিক সঞ্চয়ে পড়ছে হাত। এরই মধ্যে বীরভূমের খয়রাসোল ব্লকের লোকপুরে অবস্থিত পশ্চিম বঙ্গ গ্রামীণ ব্যাংকের দরজায় ঝুলছে অনির্দিষ্ট কালীন ব্যাঙ্ক পরিষেবা বন্ধের নোটিশ। স্থানীয় ব্যবসাদার থেকে শুরু করে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা এমনকি বার্ধক্য ভাতা প্রাপ্য বয়স্ক লোকজন ও ব্যাঙ্ক পরিষেবা বন্ধ থাকায় হয়রানির শিকার বলে ব্যাঙ্ক কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন আজ ব্যাঙ্কে আসা গ্রাহক বৃন্দগন।

    সাক্ষাৎকারে স্থানীয় ব্যাবসায়ী বিনয় নন্দী জানান…..নির্বাচনের সময় থেকে ব্যাঙ্ক পরিষেবা একপ্রকার বন্ধ ছিল,মধ্যে দুদিন খোলা থাকলেও প্রচন্ড ভীড়ের জন্য সঠিক ভাবে কাজ কারবার করা সম্ভব হয়নি,সিসি অ্যাকাউন্ট রয়েছে অন্যত্র ব্যবসাদার বা মহাজনের কাছে টাকা না পাঠানো গেলে দোকানের মালপত্র পাঠাবে না,মহা সমস্যা ব্যবসাদারদের।

    সময়মতো লোনের কিস্তি পরিশোধ করতে না পারলে সুদ বেড়ে যাবে সেই আশঙ্কায় লকডাউন কে উপেক্ষা করে ও সাত কিলোমিটার দূর কয়রাবুনি থেকে আগত মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা জানান…. সুদ বেড়ে গেলে তখন দলের মধ্যে তথা নিজেদের মধ্যে ঝামেলা সৃষ্টি হবার ভয়।
    অপর দিকে বুধপুর গ্রাম থেকে অটো রিক্সা করে অজিত বাউরি ও উজ্জ্বল বাউরি তার মা মঙ্গলা বাউরি কে নিয়ে আসে বার্ধক্য ভাতার টাকা তুলতে, আচমকা ব্যাঙ্ক পরিষেবা বন্ধে তাদের মধ্যে ও ক্ষোভ শোনা যায়। উল্লেখ্য জরুরি পরিষেবা প্রদান চালু রাখতে ব্যাঙ্কের সময় সীমা সকাল দশটা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত করলে ও ঠিক ছিল কিন্তু পরিষেবা একেবারে বন্ধ করে দেওয়ার ফলে স্থানীয় ব্যবসায়ী মহল সহ বিভিন্ন স্তরে ক্ষোভের প্রকাশ ঘটছে।