|
---|
মালদা ২৯মে: যশ পরবর্তী দুর্যোগে দুইদিন ধরে ভারী বৃষ্টি মালদা জেলা জুড়ে। জল জমছে জেলার বিভিন্ন অংশে। ফুঁসছে নদী গুলি। এই পরিস্থিতি তে সবথেকে খারাপ অবস্থা চাষি এবং মৎস ব্যবসায়ীদের। চাষের জমি ডুবে গেছে জলে। ভারী বর্ষণে ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। ফলে মাথায় হাত পড়েছে তাদের।
দুদিন ধরে ভারী বর্ষণের ফলে জলমগ্ন মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের বিভিন্ন এলাকা। ফুসছে ফুলহার এবং মহানন্দা নদী। ভয়াবহ অবস্থা নদী বাঁধের।বন্যা পরিস্থিতি হরিশ্চন্দ্রপুরের নয়াটোলা গ্রামে।ডুবে গেছে সব চাষের জমি। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। এরকম ভয়াবহ পরিস্থিতিতে সরকারের কাছে সাহায্যের আর্জি জানাচ্ছে চাষীরা।
হরিজন ঘোষ নামে এক মৎস্য ব্যবসায়ী বলেন,” তিন বিঘা পুকুরে আমার মাছ চাষ হয়।৫০ হাজার টাকা লোন নিয়ে মাছ ছেড়েছিলাম।দুই দিনের ভারী বৃষ্টিতে সব মাছ ভেসে গেছে, সরকার এখন সাহায্য না করলে পথে বসতে হবে।”
করুন পরিস্থিতি কানাই মোড়ল দাস নামে আর এক মৎস ব্যবসায়ীর।তিনি বলেন,”২ লাখ ২০ হাজার টাকার মাছ ছেড়েছিলাম।এই বৃষ্টিতে সব ভেসে গেছে।এখন আমাদের আর কোনও পথ নেই।সরকারের কাছে আর্জি জানাচ্ছি যাতে আমাদের সাহায্য করে।আমরা ফের নতুন করে মাছ চাষ করতে পারি।”
একই অবস্থা চাষীদেরও। ডুবে গেছে চাষের জমি। ধান, পাট যতটুকু ছিল সব নষ্ট। অমর দীপ পাসোয়ান নামে এক চাষী বলেন,” কিছুদিন আগে ছিল বৃষ্টিতে পাটের ক্ষতি হয়েছিল। যতটুকু ছিল এই বৃষ্টিতে সব শেষ। পাট একদম পচে গেছে। প্রচুর ক্ষতি আমাদের। তিনি সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।
একে করোনা আবহে লকডাউন, তারপর যশ পরবর্তী দুর্যোগে এই অবস্থা। সত্যিই খেটে খাওয়া মানুষ চাষীদের জন্য এ এক দুর্বিষহ পরিস্থিতি। সরকার এবং প্রশাসনের উচিত প্রয়োজন মতো পাশে দাঁড়ানো।