চিন্তায় বঙ্গ গেরুয়া শিবির! তথাগত রায় ও লকেট চট্টোপাধ্যায় হয়ে দাঁড়াতে পারেন বড়ো হুমকি

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: চিন্তন বৈঠকের আগে চিন্তায় বঙ্গ গেরুয়া শিবির। একদিকে বিস্ফোরক তথাগত রায়। আবার অন্যদিকে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় মুখ খুললেই বিপদে পড়তে পারে বঙ্গ বিজেপি। সব মিলিয়ে চিন্তার আবহাওয়া গেরুয়া শিবিরে।

    রাজ্যের ১০৮ পুরসভার একটিও দখলে আসেনি গেরুয়া শিবিরের। এই ব্যর্থতায় দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তথাগত রায়। একটি টুইটের মাধ্যমে তিনি স্পষ্ট জানান

    “বিধানসভা ভোটের ফলের পর বিজেপি বিপর্যয় স্বীকার না করে বলেছিল, ৩ থেকে বাড়িয়ে ৭৭ তো করেছি! সেই উটপাখির মতো আচরণের ফল হল আজ পুরভোটে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া!

    এখন হচ্ছে চিন্তন বৈঠক ? সুধীন দত্তের ‘উটপাখি’ কবিতা থেকে উদ্ধৃত করে বলতে হয়, “ফাটা ডিমে আর তা দিয়ে কি ফল পাবে”?”

    তবে বঙ্গ বিজেপির এই ব্যর্থতায় ক্ষুব্ধ দিল্লির নেতারাও।

    অন্যদিকে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে নিয়েও নানা প্রশ্ন ঘুরছে রাজনৈতিক মহলে। শুক্রবার তিনি এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন “আত্মবিশ্লেষণ করা দরকার। যে হার হয়েছে তা মাথা পেতে নেওয়া উচিত। বিজেপির সমস্ত কর্মী ও আমাদের আত্মবিশ্লেষণ করতে হবে। ভুল-ত্রুটি শোধরাতে হবে। একে অপরের উপর দোষ বা দায় চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়। সংগঠনের কোথায় খামতি তা দেখতে হবে।”

    হুগলিতে দলের ফল হতাশাজনক নিয়ে তাঁর বক্তব্য “যারা দায়িত্বে ছিলেন তাঁরা বলতে পারবেন।” দলের বিদ্রোহ নিয়ে তিনি বলেন “দলের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে সকলের সঙ্গে আমি কথা বলব। কে বিদ্রোহী এসব নিয়ে ভাবি না। সবাই আমার কাছে দলের কর্মী ও নেতা।”

    তাই তিনি মুখ খুললে বিপদে পড়তে পারে গেরুয়া শিবির, স্পষ্ট হতে পারে দলের ব্যর্থতার আসল কারণ। তাই টিম অমিতাভ চাইছে ওনাকে মুখ খোলা থেকে আটকাতে হবে, এমনটাই জানা গেছে সূত্র মারফত।

    উল্লেখ্য, রাজ্য নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করতে আসছেন সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য। পুরভোটে ব্যর্থতার কারণ কি এইসব বিষয়ে রিপোর্ট নেবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ও সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষ। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন “মূলত সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। জয়ী প্রার্থীরাও থাকবেন। বর্ধিত রাজ্য কমিটির তালিকা দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে।”