|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক, নতুন গতি, নদীয়া:পোস্টারের পর এবার শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য্যের নামে মৃত্যুর হুমকি দিয়ে দেওয়াল লিখন নদিয়ার শান্তিপুরে। গত তিনদিন আগে অরিন্দম এবার শান্তিপুর ছেড়ে পালা এই ভাবেই কটুক্তিকর পোস্টার পড়া কে কেন্দ্র করে যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়ে ছিলো শান্তিপুরে। শান্তিপুর ব্লকের হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বাগদেবীপুর বাজার এলাকায় এবং শান্তিপুর ব্লকের বাগআঁচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত করমচাপুর এলাকায় শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য কে খুনের হুমকি দিয়ে দেওয়াল লিখন আজ ভোরে চোখে পড়ে এলাকাবাসীদের। কে বা কারা পোস্টার মারে এ ব্যাপারে এলাকাবাসীরা কিছু না জানলেও করমচা পুরের বাসিন্দা তারক সরকার গতকাল রাত বারোটা নাগাদ খেয়াল করে, একটি মোটরসাইকেলে একজন চালক এবং একজন আরোহী ওই দেওয়াল লিখনের সামনে পড়ে থাকা একটি ব্যাগ নিয়ে জোরে মোটরসাইকেল চালিয়ে গোবিন্দপুর এর দিকে চলে যেতে! আজ সকালে ভোরের আলো স্পষ্ট হতে দেয়াললেখার বিষয়বস্তু খেয়াল করে তিনি মনে করেন, গতকালকে ওই দুই জন রংতুলির ব্যাগ ফেলে গিয়েছিলো! তাই হয়তো দ্বিতীয়বার নিতে আসা।
তবে হাতেরলেখা এবং তুলির টান দেখে অনেকেই মনে করছেন দেওয়াল লেখায় পারদর্শী কেউ এ কাজ করেছেন। ঘটনাস্থলে সকাল 10:30 নাগাদ পুলিশ এসে পৌঁছে ওই দুটি দেওয়ালই সাদা রং লাগিয়ে দেন। এ বিষয়ে শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য জানান ” বেশ কিছুদিন আগে 5 নম্বর ওয়ার্ডে একটি দেওয়ালে তৃণমূল কংগ্রেসের নাম করে লেখা হয়েছিলো ,রাজ্যের বিজেপিকে ভোট দিলে রক্তগঙ্গা বয়ে যাবে! সে ব্যাপারে কোনো ভূমিকা নেয়নি প্রশাসন! গত তিনদিন আগে আমার বিরুদ্ধে কটুক্তি কর মন্তব্য করে পোস্টার মারা হয়েছিলো ,আজ আবার আমাকে মৃত্যুর হুমকি দিয়ে দেওয়াল লিখন, শান্তিপুরে আমি থাকলে অনেকেরই রাজনৈতিক গুরুত্ব কমে যাবে, সেই কারণেই বর্তমান রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকেই এ ধরনের কাজ করা হচ্ছে বলেই আমার অনুমান এছাড়াও আগামী একুশে বিধানসভা নির্বাচনে 200 রও বেশি আসুন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় আসতে চলেছে। যার মধ্যে শান্তিপুর অন্যতম সেটা বুঝাই তৃণমূল কংগ্রেসের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেছে সেই কারণে একের পর এক আমার বিরুদ্ধে ব্যক্তি আক্রমন করে চলেছে। তবে আমি তাদের চ্যালেঞ্জ একসেপ্ট করে , জানাচ্ছি যতক্ষণ না পর্যন্ত শান্তিপুরের মানুষের স্বপ্ন সফল করতে পারছি ততক্ষণ তাদের ছেড়ে আমি যাব না। শুধু নিচের তলা নয়! তৃণমূলের উচ্চপর্যায় থেকে প্রচারিত “খেলা হবে” মানেও এক ধরনের হুমকি! তবে মানুষ প্রস্তুত আছে, খেলা নিশ্চয়ই হবে। তবে সাধারণ মানুষ যখন খেলে তখন সেই খেলাটা হয় গণতন্ত্রের জয়। যেটা আর কিছুদিন বাদেই বাস্তবায়িত হতে চলেছে। এ কদিন শুধু আমার নয়, সমগ্র বিজেপি কর্মীদের সাবধানে থাকতে হবে।