গঙ্গা পদ্মা মিলন উৎসবে সংবর্ধিত হয়ে ওপার বাংলার কবিরা আপ্লুত।

লুতুব আলি : আন্তর্জাতিক সাহিত্য সাধনা মঞ্চের উদ্যোগে ২৩ অক্টোবর কলকাতা র কৃষ্ণপদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট হলে অনুষ্ঠিত হলো গঙ্গা পদ্মা মিলন উৎসব। অনুষ্ঠানের সকলকে স্বাগত জানান সংগঠনের পুরোধা সম্পাদক চন্দ্রনাথ বসু। বিশিষ্ট সাহিত্যিক পৃথ্বীরাজ সেন এই উৎসবের উদ্বোধন করেন। উৎসবে বাংলাদেশ থেকে আসা কবি সাহিত্যিকরা সাদর অভ্যর্থনা পেয়ে আপ্লুত হন। উৎসবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি সম্মান, দুই বাংলার সাহিত্য সন্মান এবং জীবনানন্দ দাশ স্মৃতি সম্মান প্রদান করা হয়। সম্মাননা পেয়ে দুই বাংলার খ্যাতিসম্পন্না কবি লেখিকা ও বিশিষ্ট সংগঠিকা ড: সেলিনা আফরিন রীতা বলেন, কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে বাংলাকে যেমন ভাগ করা যায় না, তেমনি বাঙালীকে ও আলাদা করা যাবে না। বাংলাদেশের বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, বিশিষ্ট কবি ও প্রাবন্ধিক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখরা এই মিলন উৎসবে উপস্থিত হতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেন। আন্তর্জাতিক সাহিত্য সাধনা মঞ্চের সম্পাদক চন্দ্রনাথ বসু বলেন, সাহিত্য সংস্কৃতি দিয়েই দুই বাংলার হৃদয়কে একাত্ম করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছি। উৎসবে সভাপতিত্ব করেন উৎসব কমিটির সভাপতি বরুণ কুমার চক্রবর্তী। উৎসবে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত  ছিলেন সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উত্তর সুরি বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের উত্তরসূরী জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়, বর্ষীয়ান কবি ও প্রাবন্ধিক আবু মনির উদ্দিন চৌধুরী, বাটানগর এর লেখক ও গবেষক ড: নুরুল ইসলাম, বিশিষ্ট লেখক রাজিব শ্রাবণ, তমা কর্মকার, নন্দিনী লাহা, ড: মিলি দাস, দেবিকা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন মুক্তা রায়, উত্তম কর্মকার, ধনঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। উল্লেখ্য, এই মিলন উৎসবে স্বরচিত কবিতা পাঠের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী কবিদের গঙ্গা পদ্মা মৈত্রী সম্মানে ভূষিত করে মানপত্র দেওয়া হয়। মুখ্য সংগঠনের ভূমিকা পালন করেন নিপা চক্রবর্তী, মনীষা মজুমদার, আহেদা খাতুন, সূচনা মজুমদার ঘোষাল, সূচনা গাঙ্গুলী। সমগ্র অনুষ্ঠান সুচারু ভাবে সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট সঞ্চালিকা ও কবি মধুমিতা ধূত।