মুরারইয়ে অগ্রদূত ক্লাবের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল “ফুটবল মহারণ “

মহম্মদ রিপন,বীরভূম,নতুন গতি :

    সব খেলারই প্রিয় বাঙালীর ফুটবল। আর বাঙালীর বৈকালের আসর মানেই ফুটবলের মহারণ। বীরভূমের মুরারই থানার অগ্রদূত ক্লাবের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল ফুটবল প্রতিযোগিতা। ১৬ টি টিমের খেলায় ফাইনালে উঠে ঝাড়খন্ডের পাকুড় একাদশ ও বীরভূমের পারকান্দি একাদশ। ফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সাক্ষী থাকে বহু মানুষ। নির্ধারিত সময়ে দুটি টিমের খেলার ফলাফল ১-১ থাকায়, খেলা গড়াই অতিরিক্ত সময়ে সেইখানে বাজিমাত করে পারকান্দি। পাকুড়কে গোলের মালা পড়িয়ে জয় হাসিল করে পারকান্দি।

    উক্ত ফুটবল মহারনে উপস্থিত ছিলেন মুরারইয়ের বিধায়ক আব্দুর রহমান, মুরারইয়ের সভাপতি শাহনাজ বেগম, বিশিষ্ট ব্যক্তি বিনয় কুমার ঘোষ, আলি আসগার, রাহনুমা তাসলিম, মফিজুল সেখ, মেহেবুব হক ও ক্লাবের বিশিষ্ট ব্যাক্তিরা। ক্লাবের সভাপতি আলিমুদ্দিন ও সেক্রেটারি আরিফ সেখের কথায় আমরা ভবিষ্যতেও এই ধরনের খেলাধূলো অনুষ্ঠিত করব। মুরারইয়ের বুকে যাতে সুন্দর একটা খেলাধুলার পরিবেশ গড়ে উঠে সেদিকে সজাগ থাকব। আমরা ফাইনালে জয়ী টিমের জন্য ১০ হাজার টাকা ও ট্রফি ও রার্নাস টিমের জন্য ৭ হাজার টাকা ও ট্রফি রেখেছিলাম। আমরা এই ধরনের অনুষ্ঠানে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবার জন্য ক্লাবের সমস্ত সদস্যদের কাছে কৃতঙ্গ থাকব। সঞ্চালক মেহেবুব হকের কথায়
    বাঙালি ফুটবল ভালোবাসে এটা নতুন কিছু নয়। এক সময় বাঙালির কাছে তুমুল জনপ্রিয় ছিল এই খেলা। পাড়া-মহল্লা, গ্রাম, স্কুল-কলেজসহ প্রায় সব স্থানেই বিভিন্ন সময় এ খেলার আসর জমত। কালের বিবর্তনে এ খেলা কমে গেলেও একটুও কমেনি বাঙালির ফুটবল-প্রেম। যুগ যুগ ধরে যেমন পছন্দের খেলার তালিকায় ছিল ফুটবল, এখনও ঠিক তা-ই আছে। আর এর প্রমাণ আমরা বিশ্বকাপ এলেই দেখতে পাই। এ সময় তুমুল উন্মাদনা বিরাজ করে বাঙালির অন্তরে। রাত জেগে চলে জমিয়ে খেলা দেখার আসর।