|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক:- রাজ্যে বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ৷ এর থেকে বাদ যায়নি বীরভূম জেলাও। পশ্চিমের জেলা হওয়ার কারণে অন্যান্য জেলার তুলনায় বীরভূমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে অনেকটাই বেশি। এই তীব্র গরম থেকে রেহাই পেতে সাধারণ মানুষ বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে ছিল।অবশেষে বৃষ্টি এলো কিন্তু তা ছিল শিলাবৃষ্টি৷ যার জেরে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে৷ বৃহস্পতিবার বিকালে বীরভূমের বিভিন্ন এলাকায় দমকা হাওয়ার সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হয়।পাশাপাশি লক্ষ্য করা যায় শিলাবৃষ্টির। বীরভূমের সিউড়ি দু’নম্বর ব্লকের অন্তর্গত ইন্দ্রগাছা সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হয়েছে৷শিলা বৃষ্টির কারণে সাময়িকভাবে সাধারণ মানুষ গরম থেকে রেহাই পেলেন মাথায় হাত পড়েছে এলাকার চাষীদের। জেলার তিন চারটি মৌজার কয়েক বিঘা জমির বোরো ধান ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি কৃষকদের৷ তাঁরা জানালেন,এই সময়জমিতে জলের প্রয়োজন ছিল,হাওয়া অফিসের বৃষ্টির পূর্বাভাসে চাষীরা খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু বৃষ্টির পরিবর্তে এইভাবে শিলাবৃষ্টি তাদের কপালে ভাঁজ ফেলে দিয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে ধানের ক্ষতি হয়েছে সিউড়ি দু’নম্বর ব্লকের অন্তর্গত ইন্দ্রগাছা, নিরিশে, মালিগ্রাম ইত্যাদি মৌজায়। অন্যদিকে সিউড়ী এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত সাজিনা, ভূর্কুনা, চিনপাই সহ বিভিন্ন জায়গায় মাঠের ধান ক্ষতিগ্রস্ত। এমনিতেই গতবছর একাধিকবার নিম্নচাপ এবং সেই নিম্নচাপের কারণে বিপুল পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছিল৷বৃষ্টির কারণে পাকা ধানের নষ্ট হয়েছিল৷ ফলে চাষীরা সেবারঅনেক কম ফসল ঘরে তুলতে পেরেছেন। কিন্তু এবার বোরো ধানের ক্ষেত্রে তারা লাভের মুখ দেখবেন বলে আশা করেছিলেন। কিন্তু সিউড়ির এই বিভিন্ন এলাকায় বৃহস্পতিবারের শিলাবৃষ্টিতে যেভাবে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাতে তারা চিন্তিত। ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা জানালেন,\” বৃহস্পতিবার মেঘকরার পর হালকা বৃষ্টি শুরু হয়। তারপর শিলা পড়তে থাকে। এত শিলা পড়েছে যে ফসলের খুব ক্ষতি হয়েছে৷শুক্রবার সকালে চাষের জমিতে এসে দেখতে পাই ধান গাছের অবস্থা খুব খারাপ। সব নুইয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে জমির ধান থেকে কতটা ফসল ঘরে তুলতে পারবো জানিনা৷এইভাবে ধানের ক্ষতি হওয়ার কারণে এবার বর্ষাকালেও চাষ করার ক্ষমতা থাকবে না। তাঁরা আরও জানালেন,শিলাবৃষ্টিরতাণ্ডব চলে ১৫ মিনিট। আর এই অল্প সময়ের মধ্যেই সব শেষ।এই পরিস্থিতিতে সরকারের কাছে তাঁদের আবেদন, সরকার তাঁদের পাশে এসে দাঁড়ালে ভালো হয়৷