বীরভূমের জলসেচের ক্যানেল মেরামতি না করেই ছাড়া হয়েছে জল, অভিযোগ চাষীদের

নিশির কুমার হাজরা, মোহাম্মদ বাজার: বীরভূমের রাঙামাটি ও বেলে মাটির ভূমি। মূলত সেচ ক্যানেলের উপর ভরসা করে চাষীদের চাষাবাদ চলে। এমত অবস্থায় গোটা জুলাই মাসের ২১ তারিখ পর্যন্ত ক্যানেল মেরামতের কাজ চলে। বৃষ্টির অভাবে ধানের বীজ ফেলার কাজ করে উঠতে পারেনি মোহাম্মদ বাজার ব্লকের চাষিরা।

    গত ২১ জুলাইয়ের পর চ্যানেলে জল ছাড়া হলে দেখা যায় চাষের জন্য জল বয়ে যাচ্ছে অন্যত্রে। এমন অভিযোগ মোহাম্মদ বাজার ব্লকের ডামরা গ্রামের চাষীদের। ডামরা থেকে হস্তিকান্দা যেতে সেচ ক্যানেলের পর প্রথম ছাড়া জলের বেগে সম্পূর্ণ ভেঙে যাওয়ায় ক্যানেলের জল কান্দরে গিয়ে পড়ছে। কোন ও চাষির চাষ জমিতে জল যাচ্ছে না। ফলে ডামরা গ্রাম সংলগ্ন পাঁচটি গ্রামে চাষীদের উঠেছে মাথায় হাত। স্থানীয় পঞ্চায়েত ও সেচ অফিসে বিষয়টি জানানো সত্ত্বেও এখনো কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি!

    অন্যদিকে এক ঠিকা সংস্থাকে প্রশ্ন করলে ঠিকা সংস্থা জানান, আমাদের কাজ পাইয়ে দেওয়ার সুবাদে ৯% শতাংশের পরিবর্তে ১০ % শতাংশ কাটমানি দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। যার জন্য কাজের মান যথার্থ হওয়ার সম্ভাবনাও কম। আমাদের কিচ্ছু করার নেই।

    সরকার চাষিদের কৃষক বন্ধু প্রকল্পে নামমাত্র সহজযোগিতার হাত বাড়িয়ে মূলত চাষীদের নির্যাতন করছেন বলে ওই ব্লকের সমস্ত চাষীদের অভিযোগ। জুলাই মাস শেষ হয়ে গেলে ধানের জমিতে ঘাস নিরান এর কাজ চলে। জমিতে দেওয়া হয় কীটনাশক ওষুধ। তারপর চাপান সারের পরবর্তী সার।

    কিন্তু জলের অভাবে জমিতে চাষিরা বীজ রোপনের কাজ ই শেষ করে উঠতে পারল না। পরবর্তী ধানের পরিচর্যা করবেন কিভাবে? এতে বিঘা প্রতি ধানের যথেষ্ট ফলন যেমন কমবে, তেমনি অনেক জমি অনাবাদিতে পরিণত হবে। মারা যাবে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীরা।

    ওই গ্রামের চাষীদের একাংশের দাবি, হয় সরকার এই নির্যাতনের আসু মীমাংসা করুন নতুবা খরা ঘোষণা করে চাষীদের সমস্ত খরচ ফেরত দেওয়ার নিদান দিক।