প্রার্থী নিয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত, হচ্ছে না দেওয়াল লিখন,তাহলে কি বিজেপি প্রার্থী পরিবর্তন হবে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে? তুঙ্গে জল্পনা

প্রার্থী নিজেই জানেনা তার নামের দেওয়াল লিখন বন্ধ সরগরম রাজনৈতিক মহল

    মালদা, নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: বিজেপির প্রার্থীপদ ঘোষণা হয়েছে দুই দিন হল। ঘোষণার পর থেকেই মুর্শিদাবাদ থেকে নদিয়া,হুগলি থেকে উত্তর ২৪ পরগনা পর্যন্ত প্রার্থী নিয়ে বিজেপির অন্দরের ক্ষোভ-বিক্ষোভ চরমে। ব্যতিক্রম নয় মালদাও। প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই হরিশ্চন্দ্রপুর জুড়ে চলছে বিক্ষোভ। হরিশ্চন্দ্রপুর ৪৬ বিধানসভায় যাকে প্রার্থী করা হয়েছে, ‘মতিউর রহমান’ তাকে হরিশ্চন্দ্রপুরের বিজেপির নেতা কর্মীরা মেনে নিচ্ছে না। প্রার্থী বদলের দাবিতে বৃহস্পতিবার অফিস, কার্যালয় ভাঙচুর করে বিক্ষোভ দেখিয়ে ছিলেন নেতা-কর্মীরা। গতকাল শুক্রবার টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করা হয় এবং বারবার দাবি করা হয় প্রার্থীর বদল করতে হবে। এবং প্রার্থী বদলের দাবিতে জেলা সভাপতির কাছে চিঠিও দেওয়া হয়েছে বলে খবর। জেলা থেকে দুইদিন সময় চেয়েছে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ। আগামী সোমবার কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন। সেই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন হরিশ্চন্দ্রপুরের ক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা-কর্মীরা।

    অপরদিকে বিজেপির দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গেলেও সেখানে প্রার্থীর নাম লেখা নেই। ফাঁকা রয়েছে প্রার্থীর নামের জায়গা। অপরদিকে তৃণমূল প্রার্থী তাজমুল হোসেনের নামে শুরু হয়ে গেছে প্রচার‌‌। প্রার্থী ঘোষণার পরও এখনও প্রচারের নামে নি বিজেপি। জল্পনা উঠছে তাহলে কি হরিশ্চন্দ্রপুরে প্রার্থী পরিবর্তন করতে চলেছে বিজেপি? এই নিয়ে সরগরম মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের রাজনৈতিক মহল। পূরাতন কর্মীদের কথা না শুনলে বিজেপির সাথ ছাড়বেন তারা বলে হুঁশিয়ারি। প্রার্থী নিয়ে বিড়ম্বনায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে মালদা জেলার গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে এলাকার বিজেপি প্রার্থী জানেনই নানির্বাচনে তার নামে দেওয়াল লিখন হচ্ছে না এলাকায়।

    সূত্রের খবর হরিশ্চন্দ্রপুর পশ্চিমবঙ্গের বেস কয়েকটি আসনে প্রার্থী পরিবর্তন হতে পারে।তাই এখনই গৌড় বঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় দেওয়াল লিখনের নামছেন না স্থানীয় বিজেপি নেতা-কর্মী সমর্থকরা।

    হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লক ১৩ মন্ডল সভাপতি মনোজ পরিহার জানান, “প্রার্থী ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু তা আমাদের মনোমত হয়নি। আমরা এটা নিয়ে জেলা সভাপতির কাছে আবেদন করেছি। জেলা সভাপতি দু’দিনের সময় চেয়েছে। জেলা সভাপতি জানিয়েছেন জেলা যেরকম নির্দেশ দেবে তারা সেই রকম কাজ করবে। আমরা লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। দাবি পূরণ না হলে চার মন্ডল সভাপতি আলোচনায় বসে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।”

    হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের সম্পাদক কৃষ্ণা রজক বলেন ,”আমরা মনোমত ক্যান্ডিডেট পাইনি তাই বিক্ষোভের পথ বেছে নিয়েছি। আমরা জেলাতে জানিয়েছি, জেলা থেকে দুইদিন সময় চেয়েছে। জেলা থেকে যেরকম সিদ্ধান্ত নেবে আমরা সেরকম পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব। যদি আমরা পছন্দের প্রার্থী পাই তবে দেওয়াল লিখন করব। যারা এতদিন ধরে দলকে তৈরি করেছে তাদের মধ্যে কাউকে প্রার্থী চাইছি আমি। বিরোধীদলের মার খেয়ে, পরিবারের বাধা নিষেধ সত্ত্বেও দলের সাথ ছাড়িনি আমরা। আমাদের কথার গুরুত্ব না দিলে আমরা বিজেপির পাশে থাকবোনা।”

    অন্যদিকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে হরিশচন্দ্রপুর বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী মতিউর রহমান জানান ভোট প্রচারে যে দেওয়াল লিখন করতে হয় সেটাই উনি জানেন না। তবে চেষ্টা করবেন কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে কথা বলে দ্রুত দেওয়াল লিখন শুরু করার।

    রাজ্য বিধানসভায় প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ আছে প্রত্যেকটি দলেই। কিন্তু প্রার্থী নিয়ে বিজেপির অন্দরের ক্ষোভ-বিক্ষোভ কার্যত চরম সীমায় পৌঁছেছে! আগুন জ্বলছে বিভিন্ন জেলায়! দলের অফিসিয়াল প্রার্থীর বিরোধিতায় রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ-মিছিল করেন বিজেপি কর্মীরা। বিজেপির প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর থেকেই ঘরোয়া কোন্দল রাস্তায় নেমে এসেছে।