বিজেপি  করায় চাষ করতে দিচ্ছে না তৃণমূল এমনই অভিযোগ উঠল পশ্চিম মেদিনীপুরের  নারায়ণগড়ে

নিজস্ব সংবাদদাতা : বিজেপি  করায় চাষ করতে দিচ্ছে না তৃণমূল ! এমনই অভিযোগ উঠল পশ্চিম মেদিনীপুরের  নারায়ণগড়ে। এমনকী পুলিশকে বলেও কোনও লাভ হয়নি বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারীরা। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল ও পুলিশ প্রশাসন।বিজেপি সমর্থক নান্টু ক্যুইলার অভিযোগ, ‘আমরা বিজেপি করতাম বলে সব বন্ধ করে দিয়েছে।’ বিজেপি করার জের? তাই কি চাষ করতে দেওয়া হচ্ছে না জমিতে? বাধা দিচ্ছে তৃণমূল? এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে!নান্টু ক্যুইলার মতোই নারায়ণগড়ের সানদেউলি গ্রামের চার-পাঁচজন বিজেপি কর্মীর অভিযোগ, গত বছর বিধানসভা ভোটের ফল বেরনোর পর থেকেই তাঁদেরকে জমিতে চাষ করতে দেওয়া হচ্ছে না! অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। অভিযোগকারীদের দাবি, এ নিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানাতে গেলে, নারায়ণগড় থানার ওসি বিষয়টি তৃণমূলের পার্টি অফিসে গিয়ে মিটমাট করে নেওয়ার কথা বলেন!অভিযোগকারী বিজেপি সমর্থক নান্টু ক্যুইলার কথায়, ‘আমরা বিজেপি করতাম বলে সব বন্ধ করে দিয়েছে। সবাইকে জানিয়েছি। তাও কোনও কাজ হয়নি। ওসিকে জানিয়েছিলাম। উনি বলেছেন পার্টি অফিসে বসে মিটমাট করে নিতে। না হলে আমার কাছে আর আসবে না। আমরা তো পার্টি অফিসে যাব না, প্রয়োজনে আদালতের দ্বারস্থ হব।’ এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী-সহ পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপি কর্মীরা। মেদিনীপুরের বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি সমিতকুমার মণ্ডল বলেন, ‘এখানে গণতন্ত্র নেই। পুলিশের মেরুদণ্ডটাও ভেঙে গেছে। এখানে রাষ্ট্রপতি শাসন চাই।’পশ্চিম মেদিনীপুর তৃণমূল নেতা ও কর্ম্যাধ্যক্ষ জেলা পরিষদ নির্মল ঘোষ বলেন, ‘এসব অভিযোগ মিথ্যে। সিপিএম আমলে এসব হত। আমাদের আমলে এসব হয় না।’কিন্তু নারায়ণগড়র থানার ওসি কি সত্যিই তৃণমূলের পার্টি অফিসে গিয়ে বিষয়টি মিটমাট করে নেওয়ার কথা বলেছিলেন? এ নিয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ওসির দাবি, ভোট শেষ হওয়ার পর একটা সমস্যা হয়েছিল। তারপর সব মিটে গেছে। এখন সব শান্তিপূর্ণ, আর পার্টি অফিসে মিটমাট করার কথা বলার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।