উপনির্বাচনে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী নিয়ে তথাগত রায়ের টুইট, অস্বস্তিতে বিজেপি

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী কে?‌ এই প্রশ্ন এখন রাজ্য–রাজনীতির অলিন্দে ঘুরপাক খাচ্ছে। ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। সুতরাং সমস্ত ফোকাস এখন সেখানেই। এদিকে বিজেপি এখানে প্রার্থী করার লোক পাচ্ছে না বলে চাউর হযে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কটাক্ষে ভরা টুইট করলেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায়। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকেও নিশানা করলেন প্রাক্তন রাজ্যপাল।

    কী লিখেছেন টুইটে?‌ মঙ্গলবার টুইটে তথাগত রায় লেখেন, ‘‌পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির উচিত ভবানীপুর উপনির্বাচনে সুবোধকে প্রার্থী করা।’‌ এই টুইটের পর প্রশ্ন ওঠে, কে এই সুবোধ? কার কথা বলছেন তথাগত রায়?‌ তবে সেই উত্তরও টুইটেই তিনি প্রকাশ্যে এনেছেন। এদিন টুইটে তিনি লেখেন, ‘‌ওই যে, বিজেপি কার্যালয়ে ফুটফরমাশ খাটে, চপ–সিঙাড়া এনে দেয়! চপই তো পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যৎ!’‌ এভাবেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দেন তিনি।

    আবার বিজেপি নেতাদেরও তিনি ছেড়ে কথা বলেননি। এই সুবোধের কথা বলে দলেরও অস্বস্তি বাড়ান তথাগত রায়। কারণ রাজ্য বিজেপি নেতারা এখন কাকে প্রার্থী করবেন বুঝতে পারছেন না। কারণ ভবানীপুর মমতার গড়। সেখানে তিনি জিতবেন একপ্রকার নিশ্চিত বলেই মনে করেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। সেখানে সুবোধকে দাঁড় করালে বিজেপির প্রার্থীও দেওয়া হল আবার হারলে সম্মানও যাবার ব্যাপার নেই।

    বিজেপি সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ভবানীপুরে প্রার্থী নিয়ে ফোনে একপ্রস্থ আলোচনা করেছেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। ওই আলোচনায় চারজনের নাম উঠে এসেছে। তাঁরা হলেন—দীনেশ ত্রিবেদী, তথাগত রায়, রুদ্রনীল ঘোষ এবং অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। একুশের নির্বাচনে ভবানীপুরে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন রুদ্রনীল ঘোষ। তবে শোচনীয় পরাজয় হয় তাঁর। অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় ছিলেন বোলপুরে বিজেপি প্রার্থী। তিনিও নির্বাচনে হেরেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন দীনেশ ত্রিবেদী। তাঁকেই বিজেপি ময়দানে নামাতে পারে বলে জোর খবর। এমনকী একুশের নির্বাচনে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন তথাগত রায়। তবে তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়নি। তাই তথাগতর মতো পুরনো বিজেপি নেতাকে প্রার্থী করার কথা ভাবছে গেরুয়া শিবির। এমন সময় এই টুইট অস্বস্তি বাড়িয়ে দিল বঙ্গ–বিজেপি নেতৃত্বের।