|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: আশঙ্কা ছিলই। সেই মতো আগাম জারি করা হয়েছিল নিষেধাজ্ঞাও। কিন্তু দিল্লি রইল দিল্লিতেই। দিওয়ালির সন্ধে থেকে দেদার বাজি পুড়ল রাজধানীতে। যার পরিণাম- শুক্রবার অনেকেরই ঘুম ভাঙল অদ্ভুত আঁধারে, আকাশে কালো ধোঁয়াশার স্তর। দিনভর সঙ্গী খুসখুসে কাশি, কারও আবার থেকেই থেকেই জল পড়ল চোখ থেকে।
বৃহস্পতিবার রাতেই দিল্লির বাতাসে দূষণের পরিমাণ ছিল ‘গুরুতর’ স্তরে। এ দিন সকালে বহু জায়গাতেই যা পৌঁছে যায় বিপজ্জনক স্তরে। সরকারের বায়ুমান পর্যবেক্ষক সংস্থার রিপোর্ট বলছে, শুক্রবার রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে ২.৫ মাইক্রোমিটার ব্যাসের বস্তুকণার (পিএম) ঘনত্ব মিলেছে ৯৯৯! পিএম-এর ঘনত্ব মাপার যন্ত্রে এর বেশি ওঠে না। তাই অনেকেরই দাবি, যন্ত্র যা দেখিয়েছে, দিওয়ালির জেরে তার চেয়েও বেশি খারাপদিল্লির হাল। সিস্টেম অফ এয়ার কোয়ালিটি ও ওয়েদার ফোরকাস্টিং অ্যান্ড রিসার্চ-এর রিপোর্ট, এ দিন দিল্লির একাধিক এলাকায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ছিল ৫০০-র বেশি।
২০টি অ্যান্টি-স্মগ যন্ত্র বসিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের প্রশাসন। তবে রবিবারের আগে হাল ফেরার আশা নেই বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে এমনিতেই দূষণ বাড়তে শুরু করেছিল দিল্লির।
উত্তর-পশ্চিমের হাওয়া পাঞ্জাব-হরিয়ানা থেকে টেনে আনছিল বিঘার পর বিঘা জমির ফসলের গোড়া পোড়ানোর ধোঁয়া। দোসর যানবাহনের ধোঁয়া! বিপদ বাড়াল দিওয়ালি। দিল্লিতে সব রকমের বাজি বিক্রি ও পোড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। হরিয়ানা ১৪টি জেলায় একইরকম নিষেধাজ্ঞা রেখেছিল। লাগোয়া উত্তরপ্রদেশেও তাই। কিন্তু তার পরেও এমন পরিস্থিতি হলো কেন?
এ নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। দিওয়ালির আগেই দিল্লি বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি মনোজ তিওয়ারি তোপ দেগেছিলেন- হিন্দু উৎসব মাটি করতেই বাজি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আপ সরকার। আর এ দিন দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই বলেন, উৎসব পালনের কথা বলে বাজি ফাটানোয় উস্কানি দিয়েছে বিজেপি-ই।