|
---|
নতুন গতি প্রতিবেদন: দেড় বছর ধরে করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে থেকে সমাজের অসহায় মানুষের সেবায় মেতে রয়েছে কেশপুরের বছর কুড়ির সেখ রাজ ও তার টিম দুঃসময়ের ফেরিওয়ালা। করোনার সময়ে দিন রাত এক করে কাজ করেছেন তারা। করোনা পরিস্থিতির প্রথম লকডাউনে মেদিনীপুরের SH-7 রাস্তায় টানা 15 দিন ধরে ভিন রাজ্য থেকে আগত 7500 জন পরিযায়ী শ্রমিকের খাবারের ব্যবস্থা করেছিল এই টিম দুঃসময়ের ফেরিওয়ালা। এবারেও করোনা পরিস্থিতিতে মেদিনীপুর কেশপুর পার্শ্ববর্তী আইসোলেশনে থাকা করোনা রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন রাজ ও তার টিম।
রাজের উদ্যোগে মেদিনীপুর তেঁতুল তলার মাঠে মেয়েদের জন্য ফ্রীতে আত্মরক্ষা প্রশিক্ষনের ক্যাম্প চলে। নাম স্বয়ং সম্পন্না। প্রায় 80-90 জন মেয়ে এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আসে। প্রশিক্ষক হিসেবে আছেন জাতীয় খ্যাতি সম্পন্ন প্রশিক্ষক সিফু তাপস কুমার দাস মহাশয়। যদিও করোনা পরিস্থিতি জন্য এই সেলফ ডিফেন্স ক্যাম্প এখন বন্ধ আছে। রাজের বক্তব্য- পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই আবার ক্যাম্প শুরু হবে আগের মতই।
টিম দুঃসময়ের ফেরিওয়ালা কখনো অসহায় পরিবারের খাবারের ব্যাবস্থা করেছেন। আবার কখনো কেশপুর পার্শবর্তী ক্যান্সার আক্রান্ত দরিদ্র পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের আর্থিক সহযোগিতাও করেছেন। সঙ্গে ওই ক্যান্সার আক্রান্ত পরিবারের ছেলে মেয়েদের পড়াশুনার বই সামগ্রী দিয়ে পাশে থাকেন।
করোনা পরিস্থিতি থেকে বর্তমান সময়েও রক্তসংকটের সময় হসপিটালে ভর্তি কোনো রোগীর জরুরী রক্তের প্রয়োজন হলেই 24 ঘন্টার মধ্যে যখনই রোগীর পরিবারের ফোন আসে তখন ডোনার নিয়ে ব্লাড ব্যাংক চলে যাই রাজরা।
শেষ লকডাউনে হায়দ্রাবাদে রাজমিস্ত্রির কাজ করা এক পরিবারহীন কিশোর ব্রেন স্টোক হয়ে স্টেশনের মেঝেতে লুটিয়ে পড়েছিলো দু দিন ধরে। হায়দ্রাবাদের এক স্বেচ্ছাসেবীর সংস্থা রাজের সাথে যোগাযোগ করলে, রাজের সহযোগিতাই ওই কিশোর বাড়ি ফিরে।এভাবেই নানাভাবে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রয়াস চালাচ্ছেন রাজ ও তার টিম দুঃসময়ের ফেরিওয়ালা।রাজ বলেনঃ যেখানে বাস করি সেই সমাজের মানুষের প্রয়োজনে সামর্থ মতো পাশে দাঁড়ানো আমার কর্তব্য। আর আমার একার দ্বারা এতো কিছু সম্ভব নয়। আমাদের টিম দুঃসময়ের ফেরিওয়ালার বাকি সকল সকল সদস্যদের সক্রিয়তাই কাজ গুলো আরো সহজ হয়ে যাই।