|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা, পাঁশকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর: করোনা আবহে রক্তের সংকট মেটাতে অখন্ড মেদিনীপুরের অগ্রনী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মেদিনীপুর কুইজ কেন্দ্র সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে পাঁশকুড়া ব্লাড ব্যাংকের সহযোগিতায় পাঁশকুড়া স্টেশন আর পি এফ ব্যারাকে অনুষ্ঠিত হলো একটি রক্তদান শিবির।শিবিরে চারজন মহিলা সহ মোট ৫৩ জন রক্তদান করেন। শিবির সঞ্চালনার মূল দায়িত্ব পালন করেন কুইজ কেন্দ্রের সদস্য শিক্ষক আলোক মাইতি। শিবিরে রক্তদাতাদের উৎসাহিত করতে উপস্থিত ছিলেন কুইজ কেন্দ্রের পূর্ব মেদিনীপুর শাখার সম্পাদক মাননীয় কৃষ্ণপ্রসাদ ঘড়া, আরপিএফ থানার ওসি এম সন্ন্যাসী , জিআরপি থানার ওসি রবি উদ্দিন ,বিশিষ্ট চিকিৎসক সুকুমার মাইতি , এবং বিশিষ্ট সমাজসেবী কল্যাণ রায়,পাঁশকুড়া ভলেন্টিয়ার ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক ইয়াসিন খান,কুইজ কেন্দ্রের শুভাকাঙ্ক্ষী অঞ্জন মণ্ডল, ছিলেন পাঁশকুড়া আঠারো সমিতির সম্পাদক প্রসেনজিৎ সামন্ত,পাঁশকুড়া চলো পাশে আছি টিমের তরুণ তুর্কিসহ অন্যারা। রক্ত দিলেন বিশিষ্ট আবৃত্তিকার দম্পতি সৌরেন চট্টোপাধ্যায় ও স্বাগতা চট্টোপাধ্যায়।নিজেদের ১৮ তম বিবাহ বার্ষিকীতে রক্তদানে এগিয়ে এলেন এলাকার শিক্ষক দম্পতি রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, মৌমি চক্রবর্তী।বিশ্ব পরিবেশ দিবসে নিজের মেয়ে শিল্পার জন্মদিন উপলক্ষে প্রত্যেক রক্তদাতাদের হাতে চারা গাছ তুলে দিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শ্রীকান্ত শাসমল। এদিনের শিবিরে পাঁশকুড়ার “মিস পারফেক্ট”র কর্ণধার সস্ত্রীক নবকুমার, রক্তদাতাদের মাস্ক বিতরণ করলেন।এই শিবিরে অনেকেই প্রথম রক্ত দিয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম দীপঙ্কর মেটা বললেন,এমন একটা মহৎ দিনে প্রথমবার রক্তদান করলাম সারা বছর মানুষের পাশে থাকব, মানুষকে এভাবেই রক্তদানে উৎসাহিত করব। কুইজ কেন্দ্রের পক্ষে এদিনের শিবিরে উপস্থিত ছিলেন ভাস্করব্রত পতি,শুভ্রজ্যোতি মুখার্জি, সৌমেন গায়েন,প্রশান্ত সামন্ত আলোক মাইতি,মণিকাঞ্চন রায় নরসিংহ দাস, অপূর্ব কুমার জানা কমলিকা সামন্ত , দিব্যেন্দু রায়,সৌমিত্র মান্না,
সহ অন্যান্যরা। সমস্ত রক্তদাতা,সংগঠক ও শুভানুধ্যায়ীদের কুইজ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কুইজ কেন্দ্রের সম্পাদক সুজন বেরা, সভাপতি রিংকু চক্রবর্তী ও প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মৌসম মজুমদার।
পাঁশকুড়ায় মেদিনীপুর কুইজ কেন্দ্রের শুভাকাঙ্ক্ষী মুকুল পাল , ইন্দ্রজিৎ সামন্ত, শংকর ঘোড়াই প্রমুখ সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন এই রক্তদান কর্মসূচি সফল করার ক্ষেত্রে।