|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: আনিস খান হত্যাকাণ্ডের পর প্রায় একমাস হতে চলেছে। ছাত্রনেতা খুনে এখনও রহস্যের ভিড়। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা হাই কোর্টে রিপোর্ট পেশ করল সিট। দু’সপ্তাহের পরিবর্তে ১৭ দিনের মাথায় কুড়ি পাতার রিপোর্ট জমা দিলেন তদন্তকারীরা। আমতার ওসিকে ছুটিতে পাঠালে গোপন জবানবন্দি কে নেবেন, প্রশ্ন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ছাত্রনেতা আনিস খানকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের পোশাক পরিহিত একজন-সহ মোট চারজন এদিন ছাত্রনেতার বাড়িতে আসে বলেই দাবি। তাই প্রথম থেকেই পুলিশি তদন্তের উপর আস্থা নেই বলেই দাবি করেন আনিসের বাবা সালাম খান। সিবিআই তদন্তের দাবিতে এখনও সরব তাঁরা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্তে স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট গঠন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আনিস হত্যাকাণ্ডে কলকাতা হাই কোর্টে একটি মামলা দায়ের হয়। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সিটকে রিপোর্ট জমার নির্দেশ দেওয়া হয়। হাই কোর্টের নির্দেশের ১৭ দিনের মাথায় রিপোর্ট জমা দিল সিট। ২০ পাতার রিপোর্ট জমা দেন তদন্তকারীরা। তবে কেন আমতার ওসি দেবব্রত চক্রবর্তীকে ছুটিতে পাঠানো হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। ওসিকে ছুটি পাঠালে গোপন জবানবন্দি নেবেন কে? তবে রাজ্যের তরফে জানান হয়, ১৬৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী এখনও কারও জবানবন্দি নেওয়া হয়নি। গোপন জবানবন্দি নিতে কেন এত দেরি করা হচ্ছে, পালটা প্রশ্ন করে আদালত।
এদিকে, এখনও পর্যন্ত আনিসের দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত এবং নিহত ছাত্রনেতার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের ফরেনসিক রিপোর্ট এখনও জমা দেওয়া যায়নি। আরও ২ সপ্তাহ সময় নিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার মুখ্য বিচারক রাই চট্টোপাধ্যায়। রিপোর্টের কপি আনিসের বাবার আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী সোমবার ফের আনিস হত্যা মামলার শুনানি।