|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: আসন্ন পুরভোটে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় থেকেই বিজেপি প্রার্থীকে দেওয়া হবে নিরাপত্তা। তৃণমূল বাধা দিলে প্রতিবাদ করবেন সাংসদ, বিধায়করা। এমনই বার্তা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তৃণমূলের পাল্টা জবাব, গণতান্ত্রিকভাবে জিতবে দল।
গত ভোটের প্রসঙ্গ টেনে সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, গতবার মনোনয়ন দিতে দেয়নি। এখন সেই বিজেপিও নেই। এখন দলের এখন অনেক সাংসদ ও বিধায়ক রয়েছেন। তৃণমূল যদি ভেবে থাকে সেরকম কিছু করবে তাহলে তারা মুর্খের স্বর্গে বাস করছে। মনোনয়ন পেশে বাধা দিলে লড়াই করবেন তাঁরা।
এর পাল্টা জলপাইগুড়ি তৃণমূল নেতা সন্দীপ মাহাতো বলেছেন, বিজেপিকে বাধা দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই তৃণমূলের। তৃণমূলের প্রতি মানুষের আস্থা বিশ্বাস আছে। আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে লড়ে জয়লাভ করব।
গত পঞ্চায়েত ভোটে জলপাইগুড়ি জেলায়, বিরোধীদের মনোনয়ন দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এবার পুরভোটের আগেও ওই জেলায় শুরু হয়েছে রাজনীতির আকচাআকচি। ভোট হওয়ার কথা রয়েছে মেয়াদ উত্তীর্ণ জলপাইগুড়ি, মালবাজার, ময়নাগুড়ি পুরসভায়। এই প্রেক্ষাপটে উত্তরবঙ্গের পাঁচটি পুরসভা দখলের হুঁশিয়ারি দিয়ে, তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। সেই সঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানিয়েছেন, মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় দলের তরফে প্রার্থীকে দেওয়া হবে নিরাপত্তা। তিনি দল বেঁধে একসঙ্গে বিধায়ক ও সাংসদদের নিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যাওয়ার নিদানও দিয়েছেন। বলেছেন, তৃনমূল মনোনয়ন পেশে সমস্যা করলে বা বাধা দিলে লড়াই করবেন বিজেপির সাংসদ ও বিধায়কেরা।
অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোয়া সফরকে কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, তৃণমূল নেত্রী ঘুরতে যাচ্ছেন। সেখানে মনোনয়নে কাউকে বাধা দেওয়া হয় না। এটা যদি উনি ওখানে গিয়ে শিখে আসতে পারেন তবে ওনার পক্ষে ভালো হবে। আর ওখানে কীভাবে গণতন্ত্রকে সম্মান জানাতে হয় সেটাও দেখে আসুন।
আসন্ন পুরভোট নিয়েও তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি বলেছেন, আমরা এবার উত্তরবঙ্গের পাঁচ পুরসভার পাঁচটাতেই খুব ভালো ফল করব এবং পাঁচটা পুরসভাই দখল করব।
পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল। দলের নেতা সন্দীপ মাহাতো বলেছেন, সুকান্ত মজুমদারের এখানে আসার মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে ওনাদের ভেতরের কোন্দল মেটানো। বিধানসভা নির্বাচন থেকে বিজেপির পার্টি অফিসে হাঙ্গামা, ভাঙচুর হচ্ছে। গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত বিজেপির দিশেহারা অবস্থা। আমি বলব, আগে আপনারা আগে নিজেদের ঘর গোছান। তৃণমূলকে নিয়ে ভাবতে হবে না।
সন্দীর মাহাতো আরও বলেছেন, উনি বলছেন এবারের নির্বাচনে পাঁচটা পুরসভাই দখল করবে। আমি বলছি উনি দিবাস্বপ্ন দেখছেন। পাঁচটাতেই শূন্য হবে বিজেপি।
এবার বিধানসভা ভোটে জলপাইগুড়ি জেলার ৭টি আসনের মধ্যে, ৪টিতে জেতে বিজেপি।৩টি আসন গেছে তৃণমূলের দখলে।এবার পুরভোটকে সামনে রেখে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে দুই দল।