মরা মাছ ভেসে ওঠা ঘটনা: রবীন্দ্র সরোবরের জলের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট দিল মত্‍স্য দফতর

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: মরা মাছ ভেসে ওঠার ঘটনায় রবীন্দ্র সরোবরের জলের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট দিল মত্‍স্য দফতর। কেএমডিএ-কে দেওয়া সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছ, সরোবরের ২ জায়গায় জলে অক্সিজেনের মাত্রা কম মিলেছে। এই পরিস্থিতিতে জলের ওপর ৩টি ফাউন্টেন বসিয়েছে কেএমডিএ। ফাউন্টেন বসানো নিয়ে আপত্তি তুলেছে চারটি রোয়িং ক্লাব।

    জলে অক্সিজেনের মাত্রা কম বলেই মাছের মড়ক। রবীন্দ্র সরোবররে জলের নমুনা নিয়ে মত্‍স্য দফতরের রিপোর্টে উল্লেখ। গত কয়েক দিন শহরের ফুসফুস রবীন্দ্র সরোবরের লেকে মরা মাছ ভাসতে দেখা যায়। জলের দূষণের কারণেই মাছের মড়ক কি না, সেই প্রশ্ন তোলেন পরিবেশবিদরা।

    লেকের জলের নমুনা সংগ্রহ করে মত্‍স্য দফতর। সেই রিপোর্ট তারা KMDA-কে জমা দিয়েছে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ক্যালকাটা রোয়িং ক্লাব ও টালিগঞ্জের দিকে লেকের জলে অক্সিজেনের মাত্রা কম মিলেছে।

    কেএমডিএর ডিজি সুপ্রিয় মাইতি, রিপোর্ট পেয়েছি। ২টি জায়গায় অক্সিজেন কম আছে। গ্যাস পাওয়া গেছে। যদিও তা বড় ব্যাপার নয়। মত্‍স্য দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে, ১৫ দিন অন্তর জল পরীক্ষা করবে। বিষয়টি উদ্বেগের বলে মত পরিবেশ বিজ্ঞানীদের একাংশের।

    পরিবেশ বিজ্ঞানী তপন সাহা জানিয়েছেন, রাতের দিকে হয়ত অক্সিজেনের  মাত্রা কমে যাচ্ছে। নাইট্রেট এর পরিমাণ বেশি রয়েছে। পরিষ্কার করতে হবে। অ্যারেটর দিতে হবে। জলে অক্সিজেনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের পরামর্শে লেকের জলে ৩টি ফাউন্টেন বা ভাসমান ঝরনা বসিয়েছে কেএমডিএ।

    অন্যদিকে, এই ফাউন্টেন বসানো নিয়ে আপত্তি উঠেছে রবীন্দ্র সরোবরের চারটি রোয়িং ক্লাবের তরফে। তাদের দাবি, ফোয়ারা বসানোয় রোয়িং করতে অসুবিধা হবে। বৃহস্পতিবার রোয়িং ক্লাবের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন কেএমডিএ-র আধিকারিকরা।

    লেক ক্লাবের কর্তা দেবব্রত দত্ত জানিয়েছেন, রোয়িং-এ বোট চলে পিছন দিকে।  জলের মধ্যে কোনও কিছু থাকলে তাতে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অন্য কিছু ভাবনাচিন্তা করুন। না হলে রোয়িং বন্ধ করে দিতে হবে। কেএমডিএ সূত্রে জানানো হয়েছে, আপাতত কয়েক দিন ফাউন্টেন রাখা হবে। সমস্যা সমাধানে বিকল্প পথ খোঁজার চেষ্টা হবে।