|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: উত্তর-পূর্বের রাজ্য দখলের পরে, এবার তৃণমূলের নজরে দেশের পশ্চিমাঞ্চল। আর সেই লক্ষ্যেই আরব সাগরের পাড়ে গোয়ায় জোড়া ফুল ফোটাতে তৎপর তারা। সেই লক্ষ্যে স্থির থেকেই বৃহস্পতিবার গোয়ায় পা রাখলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী বছর ৪০ আসনের গোয়া বিধানসভায় ভোট। সেখানেই আসন দখলের লক্ষ্যে এগোচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী ক্ষমতা দখলের হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই পরিস্থিতিতে গোয়ায় পা রাখার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কালো পতাকা দেখানো হল। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি’ই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি গেরুয়া শিবির।
আগামী বছরের গোয়া বিধানসভা ভোটের লক্ষ্যে গত সোমবার থেকে ‘ইলেকশন ক্যাম্পেইন’ শুরু করেছে তৃণমূল। এরই মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এমনই এক পরিপ্রেক্ষিতে গোয়ায় পা রেখেই কালো পতাকা দেখতে হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বৃহস্পতিবার বিকেলে গোয়ায় পা রেখে বিমানবন্দর থেকে বেরোনোর একটু পরেই অন্তত ১৫-২০ জন কালো পতাকা দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল নেত্রীর কনভয়ের সামনে। অবশ্য গাড়ি না থামিয়ে পাঞ্জিমের উদ্দেশ্যে চলতে থাকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি।
ইতিমধ্যেই গোয়ায় আইন-শৃঙ্খলা, দুর্নীতির কারণে পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ হয়ে গিয়েছে অভিযোগ তুলছে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করেছে তৃণমূল। যদিও গোয়া বিজেপি-র দাবি, তাঁদের সরকার ৮৬% অপরাধের তদন্তে সাফল্য পেয়েছে, যা দেশের মধ্যে সেরা। তৃণমূলের পাল্টা বক্তব্য, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। অপরাধ আটকানো যায়নি, এমনকি নারীরাও নিরাপদ নয় গোয়ায়। কর্মসংস্থান নিয়েও বেহাল দশা বিজেপি-র সরকারের আমলে। এই পরিস্থিতিতে গোয়াতে চমক দিতে চাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।
২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটে গোয়াতে কংগ্রেস পেয়েছিল ১৭ আসন। বিজেপি জিতেছিল মাত্র ১৩টি আসনে। যদিও রাজনৈতিক দলবদলের পর বিজেপি গোয়ায় সরকার গঠন করে। এবার গোটা দেশ জুড়ে বিজেপির একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী মুখ হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই তুলে ধরতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও গোয়া বিজেপির রাজ্য সভাপতি সদানন্দ তানাবাড়ে বলেছেন, ”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোয়া এসে অফিস করে বাংলা চালালেও গোয়ার ভোটে তার কোনও প্রভাব পড়বে না। ভোটের পর গোয়ায় তৃণমূলের দোকান বন্ধ হয়ে যাবে। মনে রাখতে হবে, ভাড়াটে লোক দিয়ে গোয়ায় ভোট হয় না। দিদি গোয়ায় আসুন, দেখুন, থাকুন। আর গোয়া থেকে কিছুটা গণতন্ত্র শিখে গিয়ে বাংলায় প্রয়োগ করুন।” যদিও তৃণমূল এ সবকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। বরং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখেই এবার গোয়ায় ঝড় তুলতে চায় ঘাসফুল শিবির।