|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক:- গরু পাচারকাণ্ডে (Cow Smuggling Case) এবার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার বাড়িতে সিবিআইয়ের (CBI) হানা। সকাল থেকে বীরভূমজুড়ে (Birbhum) সিবিআইয়ের অভিযান শুরু হয়েছে। ৬টি দলে ভাগ হয়ে তল্লাশি চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। নানুরের বাসাপাড়ার সাতরা গ্রামে জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ও তৃণমূল (TMC) নেতা কেরিম খানের বাড়িতে চলছে তল্লাশি। কিছুদিন আগেই জামিনের আর্জি খারিজ করে গরু পাচার মামলায় সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossain) ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আসানসোলের CBI আদালত। অন্যদিকে কয়লা পাচারকাণ্ডে CBI-এর চার্জশিটে তৃণমূল নেতাদের নাম না থাকায়, দুর্গাপুরে বিক্ষোভ দেখাল CPM। তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।গরু পাচার মামলায় আপাতত জেলেই বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে। শুক্রবার ফের তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল আসানসোলের CBI আদালত। অন্যদিকে, কয়লাপাচার কাণ্ডে CBI-এর চার্জশিটে তৃণমূলের কোনও নেতার নাম না থাকার অভিযোগে, দুর্গাপুরে CBI-এর অস্থায়ী ক্যাম্পের সামনে বিক্ষোভ দেখাল সিপিএম (CPM)। সব মিলিয়ে জোড়া পাচারকাণ্ডের মামলাকে কেন্দ্র করে, সরগরম পশ্চিম বর্ধমান।জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায়, শুক্রবার ফের আসানসোলের CBI আদালতে তোলা হয় গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে। জামিনের আর্জি জানিয়ে তাঁর আইনজীবী দাবি করেন, ৫ জুলাই সায়গলের সম্পত্তির যে তথ্য CBI আদালতে জমা দিয়েছিল, গত মঙ্গলবার একই তথ্যকে অন্যভাবে তুলে ধরা হয়েছিল। দাবি করা হয়েছিল সায়গলের নতুন সম্পত্তির হদিশ মিলেছে রাজ্যে একুশের বিধানসভার (WB Assembly Election 2021) আগের থেকেই একের পর এক মামলায় চাপের মুখে রাজ্যের শাসকদল (TMC)। নারদ মামলা থেকে শুরু করে সারদা, কয়লাপাচার, আইকোর, গরুপাচার, ভোট পরবর্তী হিংসা, বগটুই হিংসা, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি-সহ আরও একাধিক মামলায় রাজ্যের শাসকদলের নাম জড়িয়েছে। জোড়া মামলায় নাম জড়িয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের।সম্প্রতি সিবিআই (CBI) তলব নিয়ে অনুব্রত মন্ডল (Anubrata Mandal) ‘আমিও চুরিও করিনি, ডাকাতিও করিনি’,। গরুপাচার মামলা (Cattle Scam) পিছু ছাড়ছে না। যদিও শুধু গরুপাচার মামলাই নয়, রয়েছে মাথার উপরে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলাও (Post Poll Violence)। একের পর এক সিবিআই হাজিরা এড়িয়ে গেলেও, এদিন গরুপাচার মামলা ইস্যুতে, বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বললেন, ‘আমিও চুরিও করিনি, ডাকাতিও করিনি। সিবিআই ডাকলে আবার যাব।’