|
---|
মার্টিন রাজী,চাঁচল : প্রায়৩০ বছর আগে অর্থের অভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন স্বামী। হয়নি কোনও সন্তানও। বয়সের ভারে ও শরীরে পুষ্টির অভাবে শরীর একেবারে অসুস্থ ও দুর্বল। এই জীর্ণশির্ন রোগাটে পাতলা শরীর নিয়ে কোনোরকমে ভীক্ষাবৃত্তি করে কিছু মানুষের দানে বেঁচে আছেন মালদা জেলার চাঁচোল থানার খেলেনপুর গ্ৰামের মাদ্রাসা মোড়ের বাসিন্দা রশিনা বেওয়া। টিনের একটিমাত্র ছোটো ঘরে থাকেন তিনি। বাড়ির চারপাশে নেই কোনো বেড়, ঝড়-তুফানে যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে সেই দুর্বল ঘরটি। ঘরের উপরে ছাউনিতে অনেক জায়গায় ভেঙে গেছে। একটু বৃষ্টি হলেই জলে ভরে যায় পুরো ঘর। বৃষ্টির দিনে জেগে কাটাতে হয় রাত। বাড়িতে নেই কোনো শৌচাগার ও নেই কোনো নলকূপ। থাকেন ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে চাঁচোল শহরের মাঝে একটি সরকারি খাস জায়গায়। ৬৩ বছর হলেও পাননি কোনো বৃদ্ধা ভাতা, পাননা রেশনের মালও। ঘরে নেই ইলেকট্রিকের ব্যবস্থা। লন্ঠনের আলোই রাতে একমাত্র ভরসা, নেই পাখা। কোনদিন খাবার জোটে তো কোনোদিন না খেয়েই কাটিয়ে দেন। এমনই অভাবে দুঃখে দিন কাটছে চাঁচোলের খেলেনপুর গ্ৰামের রসিনা বেওয়ার। পাননা কোনো সরকারি সুযোগ সুবিধা। এই মূহুর্তে রশিনা বেওয়া তাকিয়ে রয়েছেন যদি সরকার, স্থানীয় পঞ্চায়েত ও প্রশাসন তাকে কিছু সাহায্য করে তবে তার বেঁচে থাকতে একটু সুবিধা হয়।