|
---|
উজির আলী, নতুনগতি, মালদা:২৫ এপ্রিল
করোনা মহামারীতে লকডাউন, আর তারই মধ্যে খাদ্য সঙ্কট চলাকালীন এক অনন্য নজির গড়ে চলেছেন মালদহের চাঁচল টিচার্স ট্রেনিং কলেজের কর্ণধার আসফাক আলম ওরফে রাজু বাবু।
লকডাউনে কর্মহীনতায় শ্রমিক শ্রেনীর
জনজীবন বিপর্যস্তের মুখে প্রায়। জুটছে না আহার,জলছে না আহার। তবে দুস্থদের পাশে দাড়িয়েছে চাঁচল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ। যদিও এলাকায় বহু সংগঠন ত্রান বিলিতে উদ্যোগ নিয়েছেন।
তবে টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ত্রান বিলির একটা রুটিন বেধে দিয়েছেন যা শনিবার ২৭ দিনে পদার্পন করেছে। ৩ ই মে পর্যন্ত চলবে ত্রান বিলি বলে জানা গেছে।
তবে লকডাউনের দীনক্ষন বৃদ্ধি পেলে, কলেজ কর্তৃপক্ষ খাদ্য সামগ্রী বিলি নিয়ে আলোচনা করবে বলে খবর।
সকাল হলেই ছুটতে হয় তাদের অনাহার অনায়াসে থাকা চিহ্নিত এলাকাগুলিতে তাদের দর্শন এখন দৈনন্দিন।
আহার তুলে দিচ্ছেন পরিবারের কর্তার হাতে। তবে কোনো শিবির নয়, বিভিন্ন গ্রামগুলিতে গিয়ে খাদ্য পৌঁছে দিচ্ছে তারা। ২৭ দিনে প্রায় ২৭০০ পরিবারকে তারা আহার তুলে দিয়েছেন। এবং ৫০ কুইন্টাল চাল এই পর্যন্ত বিলি হয়েছে জানান কর্নধার আসফাক আলম(রাজু)।
এছাড়াও ডাল,আলু সয়াবিনও প্যাকেজে থাকছে।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, লকডাউন ঘোষনার এক সপ্তাহ পরেই এই খাদ্য সামগ্রী বিলির উদ্যোগ নিয়েছেন তারা।কমিটি গঠন করে,চাঁচল এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে রুটিং অনুযায়ী ত্রান পৌঁছে দিচ্ছেন তারা। কালবৈশাখী ঝড় হোক বা খড়া হোক দুর্গম পথ।
তাদের উদ্দেশ্য একটাই, ত্রান নিয়ে পৌছাঁতে অভুক্তের কাছে। ভাষনে নয় রেশনে তারা বিশ্বাস রাখে।
তাই এই ত্রান সামগ্রী বিলি করতে করতে কলেজ কর্তৃপক্ষ “আমরা পাশে আছি,থাকব” স্লোগানকে এখন আপন করেছে। পাশে থাকার বার্তাটা আজকের মহামারীতে তাদের মানবিক চিত্র ফুটে উঠেছে সমাজে। কুর্নিশ জানিয়েছেন গোটা চাঁচল সদর এলাকা।