বিশ্বভারতীর শতবর্ষ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ না জানিয়ে অপমান করা হয়েছে ” ব্রাত্য বসু

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: বিশ্বভারতীর শতবর্ষ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এমনই অভিযোগ করলেন তৃণমূলের নেতা তথা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।

    বিশ্বভারতীর রাইটিং প্যাডে লেখা ৪ ডিসেম্বরের একটি চিঠি প্রকাশ্যে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে লেখা এই চিঠি নিয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে ব্রাত্য বসুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাপ্তি স্বীকারের চিঠি কোথায়? ওই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকারের নথি আছে কি? উপাচার্য নিজেই সই করে নিজের কাছে ওই চিঠি রেখে দিয়েছিলেন নাকি? এ ভাবে কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়? এই ভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করা যায় না। গত ১৫ দিনে কোনও আমন্ত্রণ আসেনি।’

    এ দিন ব্রাত্য আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য আমাকে বিস্মিত করেছে। রবীন্দ্রনাথের মেজদাকে বললেন বড়দা। তাঁর স্ত্রীর নাম ভুল বললেন। বারবার বললেনর গুজরাতের কথা। কেন বললেন বুঝতে পারলাম না। বারবার গুজরাতের সম্পর্ক খুঁজতে চেয়েছেন। বিশ্বকবিকে আঞ্চলিক করতে চাইলেন।’

     

    প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের বিরোধিতা করা ব্রাত্যর অভিযোগ, ‘স্বাধীনতা আন্দোলন নিয়ে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নিলেন না? দুঃখ দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গকে ছোট করতে চান, এটা ঠিক নয়। উনি তুকারাম ও কবীরের নাম করেছেন। এঁরা ব্রাহ্মণ্যবাদের বিরোধিতা করেছিলেন। তা হলে দলিতদের উপর অত্যাচার নিয়ে কোনও কথা বললেন না। বিশ্ব ভারতীর ভাবনায় যে উদারতা রয়েছে তা প্রধানমন্ত্রী দেখাতে পারবেন?’

     

    বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছাড়াও রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ও অন্যান্য আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। মোদী বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠানে বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বনির্ভর সমাজ গড়ার ডাক দিয়েছিলেন। তিনি কৃষিতে, ব্যবসা-বাণিজ্যে, শিল্পে, সাহিত্যে ও অন্যান্য ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা চেয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথ চেয়েছেন ভারতের ধর্মীয় জাগরণের সুবিধা পাক গোটা মানব জগত্‍‌। এই আবেগ থেকেই এসেছে স্বনির্ভর ভারতের ভাবনা। এই স্বনির্ভর ভারতের ডাক গোটা পৃথিবীর জন্যই কার্যকরী হবে।’