|
---|
সেখ রিয়াজুদ্দিন, বীরভূম: কম বয়সে বিয়ে আটকাতে সরকারি ভাবে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন উদ্যোগ। রাজ্য সরকার কর্তৃক সবুজ সাথী, কন্যশ্রী, রূপ শ্রী ইত্যাদি সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে সর্বস্তরে। তবুও গোপন ভাবে কম বয়সে বিয়ের প্রবনতা বহমান। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মী, থানা থেকে শুরু করে জেলা চাইল্ড লাইন পর্যন্ত কম বয়সী ছেলে মেয়েদের বিয়ে আটকাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, এবিষয়ে বিভিন্ন আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ও প্রচেষ্টা অব্যাহত। তথাপি লুকিয়ে লুকিয়ে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় বুঁদ একশ্রেণীর অভিভাবকগন।
এমনই এক ঘটনা খয়রাসোল ব্লকের লোকপুর থানার বিশালপুর গ্রামের দুটি পরিবারের তিন নাবালিকার বিয়ে ঘিরে। বীরভূম জেলা চাইল্ড লাইন এবং লোকপুর থানার সহযোগিতায় বুধবার তিন নাবালিকার বিয়ে আটকাতে সক্ষম হন বলে জানা যায়। বিশালপুর গ্রামের কালী বাউরির ১৫ বছর বয়সী দুই কন্যা দশম শ্রেণীতে পাঠরত, বাড়িতে দেখাশোনা করে তাদের বিয়ের দিন স্থীর হয় আগামী বৈশাখ মাসে। পড়শী মা বাবা হীন আর এক ১৭ বছর বয়সী নাবালিকা দাদা পল্টন বাউরির কাছে মানুষ তার ও বিয়ের দিন ঠিক করা হয় সামনের বৈশাখে।বীরভূম জেলা চাইল্ড লাইন কম বয়সে বিয়ের খবর পেয়ে স্থানীয় লোকপুর থানার পুলিশের সহযোগিতায় উক্ত দুই পরিবারের বাড়িতে হানা দেয়।
পরিবারের লোকদের কাছে মুচলেকা লেখানো হয় যে ১৮ বছরের আগে বিয়ে দেবে না। এছাড়া কম বয়সে বিয়ের ফলে মেয়েদের শারীরিক মানসিক ইত্যাদির চাপ সৃষ্টি হয়।
শরীর স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ে মেয়েদের ইত্যাদির দিকগুলো তুলে পরিবারের লোকজন কে বোঝানো হয়। বাড়ীর লোকেরা সহমত পোষণ করেন চাইল্ড লাইন ও থানার অফিসারদের কাছে। এদিন উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা চাইল্ড লাইন দলের সদস্য সেখ ফজলুল হক, লোকপুর থানার এএসআই জীবন সরেন। অন্যদিকে দুবরাজপুর থানার চাপা নগরী গ্রামে ও এক এক নাবালিকার বিয়ে আটকাতে সক্ষম হন চাইল্ড লাইন বীরভূম জেলা।