শহরের ইতিউতি ফ্লেক্স, ফেস্টুন লাগানো হয়েছে হবে বাইক মিছিল, শোভাযাত্রা, রামের পুজোও

নিজস্ব সংবাদদাতা : শহরের ইতিউতি ফ্লেক্স, ফেস্টুন লাগানো হয়েছে। হবে বাইক মিছিল, শোভাযাত্রা, রামের পুজোও। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত দু’বছর মেদিনীপুরেও জাঁকজমক করে রামনবমী পালন হয়নি। এ বার জোর টক্কর হতে চলেছে। প্রস্তুত বিজেপি কর্মী- সমর্থকেরা। প্রস্তুত তৃণমূল কর্মী- সমর্থকেরাও। আগামী রবিবার, ১০ এপ্রিল রামনবমী। পরশু, শনিবার থেকেই বাইক মিছিল, শোভাযাত্রা শুরু হওয়ার কথা শহরে।

     

    বিজেপির জেলা সভাপতি তাপস মিশ্র বলেন, ‘‘মেদিনীপুর সহ জেলার সব এলাকায় রামনবমী পালন হবে। দলের কর্মীরা দিনটি পালন করবেন। প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, ‘‘রামনবমীতে তৃণমূলের আলাদা কোনও কর্মসূচি নেই। তবে দলের কর্মীরা বিভিন্ন ক্লাব, সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। ওই ক্লাব, সংগঠনগুলি প্রতি বছরের মতো এ বারও রামনবমী পালন করবে। দলের কর্মীরা তাতে শামিল হবেন।’’ সুজয় মনে করাচ্ছেন, ‘‘আমি নিজেও তো একটি ক্লাবের সভাপতি। যে ক্লাব রামনবমীতে শোভাযাত্রা করে আসছে বছরের পর বছর ধরে।’’ রামনবমী পালন ঘিরে মেদিনীপুরেও মুখোমুখি চলে আসছে যুযুধান শিবির। রামনবমী পালন মানেই যেন মাথায় গেরুয়া ফেট্টি বেঁধে, হাতে গেরুয়া ধ্বজা, অস্ত্র নিয়ে মিছিল, সঙ্গে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি- এই ছবি দেখতেই অভ্যস্ত শহরের অনেকে। পুলিশ অবশ্য জানাচ্ছে, রামনবমীর শোভাযাত্রায় অস্ত্র থাকলে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। জমায়েত বা শোভাযাত্রা থেকে গোলমাল, উত্তেজনা এড়াতে সমস্ত রুটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে।তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক আশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘রাম বিশ্ব মানব। তাঁর কোনও জাতপাত নেই।’’ বিজেপির রাজ্য সহ- সভাপতি শমিত দাশ বলেন, ‘‘এ বার মহা সমারোহে রামনবমী পালন হবে। এটা হিন্দু জনতার ভাবাবেগের বিষয়।’’ ‘রামনবমী সমারোহ সমিতি’র উদ্যোগে মেদিনীপুরে এ বার ধুমধামে উৎসব হবে। শনিবার বাইক মিছিল হওয়ার কথা। দুপুরে মেদিনীপুরের অরবিন্দনগরের মাঠ থেকে শুরু হবে এই মিছিল। শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করবে। রবিবার কেরানিতলায় রামের পুজোর বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। রামের মূর্তিতে পুজো হবে। গেরুয়া শিবিরের অনেকেই মানেন, এই সমিতি ‘রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ’ (আরএসএস) প্রভাবিত। এক সময়ে শহরে রামনবমী উদযাপন কমিটির ব্যানারে দিনটি পালিত হয়েছে। গত বছর শুরুতে ঠিক হয়েছিল, হিন্দু যুব বাহিনীর ব্যানারে দিনটি পালিত হবে। বেঁকে বসেছিলেন উদযাপন কমিটির লোকেরা। দিনটি পালন নিয়ে গেরুয়া শিবিরে খানিক বিভাজন দেখা দেয়। তখন মধ্যস্থতায় না কি নেমেছিল সঙ্ঘই। পরে ঠিক হয়েছিল, রামনবমী উদযাপন কমিটির ব্যানারে নয়, হিন্দু যুব বাহিনীর ব্যানারেও নয়, দিনটি পালন হবে রামনবমী সমারোহ সমিতির উদ্যোগেই। এ বার সেই মতোই সমিতির ব্যানারে উৎসব হচ্ছে।করোনা পরিস্থিতির কারণে ২০২০ এবং ২০২১ সালে সেই টক্কর দেখা যায়নি। বছর ঘুরলে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই আবহে অন্য মাত্রা পাচ্ছে এ বারের রামনবমী।